জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি রবিউল ইসলামের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) মাগরিব নামাজের পর ইউনিয়নের একটি মসজিদের বারান্দায় বসে কথোপকথনের পর কয়েকজন বিএনপি কর্মী পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্র জানায়, শনিবার জামায়াতের কর্মী সমাবেশ সফল করতে রবিউল ইসলাম স্থানীয় কয়েকজন কর্মীকে নিয়ে মসজিদের বারান্দায় আলোচনা করছিলেন। এ সময় বিএনপির দুই কর্মী এসে প্রোগ্রাম করার অভিযোগ তুলে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। পরে তারা চলে গেলেও কিছুক্ষণ পর ৫–৬ জন একত্র হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে রবিউলের ওপর হামলা চালায়। এতে তার হাত–পা ভেঙে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হামলার সময় আক্রান্ত জামায়াত নেতার ডিসকভার ১২৫ মোটরসাইকেলটিও ভাঙচুর করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে এভার গ্রিন লাইভ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেলান্দহ পৌরশাখা একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করে।
এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার ওসি শরিফুল ইসলাম রাত ১২ টার দিকে জানান, ‘জামায়াত নেতারা থানায় এসেছেন, তবে এখনো কোনো মামলা করা হয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
জামায়াতের আমির ইদ্রিসকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে কিছুক্ষণ কথা বলার পর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
মেলান্দহ উপজেলা শিবিরের সভাপতি আরিফুল ইসলাম জানান, ‘আগামীকালের কর্মী সমাবেশকে ঘিরে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবেই এ হামলা চালানো হয়েছে।'