গাজীপুর-২ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার এবং সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুরুল করিম রনি। দুজনই কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। তবে সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওই আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে রনির নাম ঘোষণা করেন। এতে রনির সমর্থকদের মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে শওকত হোসেন সরকারের কাশিমপুরের বাসায় সাক্ষাৎ করতে যান এম মঞ্জুরুল করিম রনি। রনিকে জড়িয়ে ধরেন শওকত হোসেন। পরে একে অপরের সাথে কোলাকুলি করেন। দুই নেতার এমন আলিঙ্গনে সেখানে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বাসায় পৌঁছালে হাসিমুখে মঞ্জুরুল করিম রনিসহ অতিথিদের বরণ করে নেন শওকত হোসেন সরকার। এ সময় দুজন কোলাকুলি ও করমর্দনের মাধ্যমে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরে তারা উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন এবং ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শওকত হোসেন সরকার বলেন, ‘বিগত দিনগুলোতে আমরা দুজনই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন করেছি।
এ সময় জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান, গাজীপুর সদর থানা বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান এলিস, টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাজী সালাউদ্দিন, বিএনপি নেতা মোফাজ্জল হোসেন, গাজীপুর মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মাহমুদ হাসান রাজু, যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল খন্দকার সুমনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা ও বিপুল সংখ্যক কর্মী সমর্থক।
এর আগে এম মঞ্জুরুল করিম রনি সালনায় তার মা-বাবার কবর জিয়ারত করেন।
বিকেলে শহরের রাজবাড়ী সড়কে অবস্থিত গাজীপুর মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আসেন রনি। এখানে তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের সবাইকে মিলেমিশে ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে ধানের শীষের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘এ মনোনয়ন আমার একার নয়। এ মনোনয়ন মহানগর বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব নেতাকর্মীর এবং এটি গাজীপুরের প্রতিটি মানুষের অর্জন।’