বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে পুনর্গঠনের ঘোষণা দেওয়া হলেও সারাদেশে কতগুলো কমিটি আছে— তার কোন নির্দিষ্ট হিসেব দিতে পারেনি সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে। সভাপতি রিফাত রশিদ জানিয়েছেন, আগের মতোই সারাদেশে কমিটি গঠন করা হবে, তবে মোট সংখ্যা বা সদস্যের সুনির্দিষ্ট তথ্য আপাতত তাদের কাছে নেই।
চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া প্লাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে নানা অনিয়ম ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন অনেকে। এ কারণে গত ২৭ জুলাই কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া সারাদেশের সব কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছিল সংগঠনটি। তিন মাস না যেতেই আবারও সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে কমিটিগুলো পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
গত রবিবার (২ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি রিফাত রশিদ জানান, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বৈপ্লবিক রূপান্তর নিশ্চিত করতে এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বিনির্মাণের লক্ষ্যে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মহানগর, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সব ইউনিট কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সব ইউনিটকে পুনর্গঠন সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা যে উদ্দেশ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছি, সে লক্ষ্য পূরণের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। আর এজন্য আমাদের যে কাজ করা প্রয়োজন সেটাই করব।
তিনি বলেন, আমাদের ঘোষণার পর সারাদেশ থেকেই কমিটি ঘোষণার ব্যাপারে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। অনেকেই আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে আমরা যাচাই-বাছাই করে কমিটি পুনর্গঠন করব। এক্ষেত্রে কাউকে ছাঁটাই করতে হলে করা হবে, আবার কাউকে যুক্ত করতে সময় ক্লিন ইমেজধারীকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। বিশেষ করে, ফৌজদারি অপরাধে জড়িত কেউ কমিটিতে স্থান পাবে না।
রিফাত রশিদ আরও বলেন, সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মহানগর, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সব ইউনিট কমিটিরই পুনর্গঠন আমরা করব। সারা দেশে আমাদের একসময় প্রায় ১৮ হাজারের মতো লোক ছিল যারা কমিটিতে ছিলেন, আর কর্মী ছিলেন ১ লাখের মতো। কিন্তু এবার এ সংখ্যাটি কত হবে এবং মোট কতটি কমিটি আছে বা হবে, সেটার তথ্যও আপাতত বলা যাচ্ছে না।