জাতীয় প্রেস ক্লাবে সিনিয়র সাংবাদিক মোদাব্বের হোসেনের বুকে কনুই দিয়ে আঘাত করার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম। গত শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরের ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর সোমবার সাংবাদিক মোদাব্বের হোসেনের সঙ্গে দেখা করেন আবদুস সালাম।
একটি ভিডিও বার্তায় দেখা যায় ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’-এর নিউজ এডিটর মোদাব্বের হোসেন এবং আবদুস সালাম পরস্পরকে জাড়িয়ে ধরে আছেন। এসময় ভিডিও ধারণকারী সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে আবদুস সালাম বলেন, ‘এই বিষয়ে আসলে বলার কিছু নাই। আমি দুঃখিত। ভিড়ের মধ্যে এরকম একটা ঘটনা যে ঘটবে... আমি উনাকে এমনিতেই অনেক ভালোবাসি, উনাকে চিনি আগে থেকেই, কাজেই এরকম ঘটনা ঘটা ঠিক হয়নি। যেটা হয়েছে তার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’
এসময় সাংবাদিক মোদাব্বের হোসেন বলেন, ‘ফেসবুকে ভিডিওটা কেটে-ছেঁটে ছড়ানো হয়েছে। আগে-পিছের অংশ থাকলে এমন বিভ্রান্তি ছড়াতো না।’
তিনি বলেন, ‘সালাম ভাই সিনিয়র নেতা। উনি আমাকে চেনেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে ঘটনাটি ঘটে গেছে। আমি নিজেও কিছু মনে করিনি কিন্তু যেভাবে ভিডিওটা ভাইরাল হয়ে গেছে তাতে সালাম ভাইয়ের সম্মান নষ্ট হয়েছে, আমারও সম্মান নষ্ট হয়েছে।’
‘যেহেতু উনি নীলফামারী-৪ এ বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী, আমার এলাকার লোক। শুধু আমাকে বা সালাম ভাইকেই না, দলকেও হেয় করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ভিডিওটা ছড়িয়েছে যে, আমাদের নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল। কিন্তু আমাদের মধ্যে কোনো গণ্ডগোল নাই।
সাংবাদিক মোদাব্বের জানান, তার বাবার মোশাররফ হোসেন লেবু মিয়া নীলফামারীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা। জিয়াউর রহমান তাকে এমপি মনোনয়ন দিয়েছিলেন। সেই থেকে তারা বিএনপি পরিবারের সদস্য। তাছাড়া এলাকায় স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরাও তাদের বৃহত্তর পরিবারের সদস্য।
ঘটনার পরপরই আবদুস সালাম ফোন করে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন বলে জানান মোদাব্বের হোসেন। তিনি বলেন, ‘উনার ফোনে আমিও খুব বিব্রত হয়েছি। আমি কিছু মনে করিনি। উনাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। কিন্তু এটা ভাইরাল হওয়ার কারণে আমরা পড়ে গেছি বিপদে। সালাম ভাই আমাদেরই লোক।’
জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটে শনিবার দুপুরে। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে গাড়িতে উঠছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার সঙ্গেই ছিলেন আবদুস সালাম। সে সময় তার সামনে থাকা সাংবাদিক মোদাব্বের হোসেনকে কনুই দিয়ে ধাক্কা মেরে পাশে সরিয়ে দেন তিনি।
পরে ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন অনেক গণমাধ্যমকর্মী। এটি ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই সামালোচনা করেন।