Image description

সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকা প্রায় অর্ধেকে নেমে এলেও কয়েকটি আসনের প্রার্থী চূড়ান্তকরণ নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। দলের একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী ও দায়িত্বশীলদের সঙ্গে আলাপ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

বিশেষ করে যেসব আসনে হেভিওয়েটরা প্রার্থী হয়েছেন সেসব আসনেই এমন জটিলতা। দ্বিতীয়ত কেন্দ্রীয় নেতা, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, প্রবাসী ও দলের দুর্দিনের কাণ্ডারি, ত্যাগীরা যেসব আসনে প্রার্থী হয়েছেন সেসব আসন নিয়েও বেশ ভাবতে হচ্ছে বিএনপিকে। কারণ ওইসব আসনে প্রবাসের প্রভাবশালী নেতারা মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন। 

সিলেট বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন হচ্ছে সিলেট-১। এই আসনে বরাবরই হেভিওয়েট হেভিওয়েটে লড়াই হয়ে থাকে। এক সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান এই আসন থেকে ভোট করতেন। এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে বহুবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন আরেক অর্থমন্ত্রী এম এ মুহিত। পরবর্তীতে মুহিতের ভাই আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম এ মোমেন এই আসন থেকে নির্বাচিত হন। এর আগে সাবেক স্পীকার হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী এই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন।

একসময় সাইফুর রহমান ও মুহিতের লড়াই নির্বাচনি লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। মুহিতকে একাধিকবার হারিয়ে সিলেট-১ এ নির্বাচিত হয়েছেন সাইফুর রহমান। তারও আগে হুমায়ুন রশিদ ও সাইফুরের লড়াই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।

পরবর্তীতে এই আসনে হাল ধরেন সাইফুর রহমানের অনুসারী আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি দুই দুবার মেয়র নির্বাচিত হন। সিলেট সিটি কর্পোরেশন এই আসনকে কেন্দ্র করে। তাই নির্বাচিত প্রতিনিধি হওয়ায় এই আসনে আরিফুলের উন্নয়নের সুযোগ হয়েছে।

 এবার আওয়ামী লীগ মাঠে নেই। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী দুজন। দুজনই আবার বড় নেতা, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা। তারা হলেন— সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী। বিএনপি চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা ও সিলেট-১ আসনে তিনবারের নির্বাচিত এমপি খন্দকার আব্দুল মালিকের ছেলে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। কেউ কেউ আবার বলছেন, লন্ডনের প্রভাবশালী পাশা খন্দকার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন। এতে করে তার মনোনয়ন নিয়ে টেনশন করার কিছুই নেই।

আরিফুল হক চৌধুরী এর আগে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তাকে এই আসনে মনোনয়ন না দেওয়া হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করবেন। মুক্তাদিরও মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী।