বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির কাছে কমিটমেন্ট করেছেন প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন দিবেন। এখন যদি এগুলোর ব্যত্যয় ঘটে তাহলে দায় দায়িত্ব প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেই নিতে হবে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীতে ‘বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন: অন্তর্বর্তী আমলে বাংলাদেশ’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আমরা জুলাই সনদের যে খসড়ায় স্বাক্ষর করেছিলাম, সেখানে অনেক ব্যাপারে নোট অফ ডিসেন্ট ছিল। যেগুলো নিয়ে পরে আলোচনারও সুযোগ ছিল। অথচ কমিশন গতকাল প্রধান উপদেষ্টার কাছে যে সুপারিশমালা পেশ করেছে সেখানে নোট অফ ডিসেন্টের বিষয়টি নেই। এটি খুব দুঃখজনক। কি কারণে এটা করা হলো অবিলম্বে কমিশন ব্যাখ্যা দিক।
বিএনপির মহাসচিব জানান, বিএনপির জন্ম হয়েছে সংস্কারের মধ্য দিয়ে। অথচ প্রচার করা হচ্ছে বিএনপি সংস্কার বিরোধী। বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বিএনপির বিরুদ্ধে নেতিবাচক খবর প্রকাশ করা হচ্ছে। ১৯৭৫ সালে গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছিল শেখ মুজিব। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সেই বাকশাল রোধ করে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন। এটাই বাস্তবতা।
তিনি আরও বলেন, দেশে যত গণতান্ত্রিক পরিবর্তন সব বিএনপির হাত ধরে এসেছে। বিএনপি সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে।
মির্জা ফখরুল দুঃখ প্রকাশ করে জানান, দেশকে বিভক্ত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন যে জাতীয় ঐক্য সেটা নষ্ট হতে চলেছে। এটা কারা করছে সবাই জানে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী আমাদের সামনে যে সুযোগ এসেছিল তা যদি কাজে লাগানো না যায় সেটা জাতির জন্য ভীষণ দুঃখজনক হবে।
শীর্ষনিউজ