Image description

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা সালাহউদ্দিনের ইজারা নেওয়া জায়গা দখল করার অভিযোগ উঠেছে সফিকুল ইসলাম নামে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সালাহউদ্দিনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, মো. সালাহউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন।

অভিযুক্ত বিএনপির নেতা সফিকুল ইসলাম ওরফে ছোট আবু উপজেলার চরচারতলা গ্রামের বাসিন্দা এবং উপজেলা আশুগঞ্জ বন্দর বিএনপির সহ-সভাপতি রয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মনোয়ারার স্বামী সালাহউদ্দিন বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কার্যালয় ঢাকা থেকে উপজেলার সোনারামপুর মৌজার ৫/১ বিএস খতিয়ানের ৮৮ (অং) বিএস দাগের পুকুর পাড়ের পূর্ব-উত্তর দিকের ২০ ফুট প্রস্থ ও ৯০০ ফুট দৈর্ঘ্যের মোট ১ হাজার ৮০০বর্গফুট জায়গা বাণিজ্যিকভাবে ইজারা পান। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার চর চারতলার মাে. মজনু মােল্লা এবং তার ভাতিজা আশুগঞ্জ বন্দর বিএনপির নেতা সফিকুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ৭ থেকে ৮ জন সালাহউদ্দিনের ইজারা পাওয়া ভূমির দক্ষিণ সীমানার দিকে দুটি ঘর নির্মাণ করে প্রায় ৩০ ফুট জায়গা জোরপূর্বক দখল করেন। সালাহউদ্দিনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ইজারা পাওয়া বিষয় দখলে বিষয়টি নিয়ে ২৬ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং গতকাল সোমবার (২৭ অক্টোবর) কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

তিনি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও আশুগঞ্জ থানার পুলিশকে সরজমিনে পরিদর্শন করে ইজারার জায়গা থেকে অবৈধভাবে নির্মাণ করা দুটি ঘর উচ্ছেদের অনুরোধ জানান।

পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ভূমিদস্যুরা আরও ২০ ফুট জায়গা রাতের আঁধারে দখলে নেওয়ার পায়তারা করতেছে। ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগীয় ঢাকা ভূ-সম্পত্তি কার্যালয় থেকে প্রতিনিধি দল আশুগঞ্জ সদর সদর ভূমি কার্যালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে সরজমিনে পরিদর্শন শেষে নকশা মোতাবেক সীমানা নির্ধারণ করেন। তারপরও মজনু মােল্লা ও তার ভাতিজা সফিকুল আমার ইজারার সীমানায় স্থাপনা নির্মাণ করে। সফিকুল একাধিক মামলার আসামি ও অনেক খারাপ প্রকৃতির লোক।

মজনু মোল্লা বলেন, আমি কারও জায়গা দখল করিনি। পুকুরের দক্ষিণদিকে জায়গা আমি ইজারা পেয়েছি। ১৯৯৪ সাল থেকে এই জায়গার ইজারা আমার নামে আছে। বিদ্যুতের খুঁটি পর্যন্ত আমার ইজারাপ্রাপ্ত জায়গা‌।

বিএনপির নেতা সফিকুল ইসলাম বলেন বলেন, ঘর নির্মাণের জায়গাটি চাচা মজনু মোল্লার নামে ইজারা নেওয়া। তিনি ইজারার টাকা পরিশোধ করেছেন। সুতরাং অভিযোগ সত্য না।

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আলম বলেন, অভিযোগের পর পুলিশ ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ করেছে। তবে উচ্ছেদের বিষয়ে ভূমি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই।

আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাফে মোহাম্মদ ছড়া বলেন, আমি প্রশিক্ষণে থাকায় আশুগঞ্জের বাইরে থাকায় লিখিত অভিযোগ হাতে পাইনি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।