Image description

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বৃহত্তর জোট গঠনে আগ্রহী বামপন্থি দলগুলো। চলছে প্রাথমিক আলোচনা। নেতারা জানান, নভেম্বরে চূড়ান্ত হতে পারে নির্বাচনী জোটের রূপরেখা।

সব ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারির ভোট সামনে রেখে ডিসেম্বরেই নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে জোট আর ভোটের নানা সমীকরণ তৈরি হচ্ছে রাজনীতিতে।

 
নির্বাচনী নানা হিসাব-নিকাশ বাম রাজনৈতিক শিবিরেও। বৃহত্তর নির্বাচনী ঐক্য গড়ার প্রাথমিক আলোচনা এগিয়ে নিচ্ছেন নেতারা। সিপিবি-বাসদের নেতৃত্বাধীন বাম গণতান্ত্রিক জোটের ৬ দল, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার ৭ দলের পাশাপাশি গণফোরাম, বাংলাদেশ জাসদ, ঐক্য ন্যাপকে একমঞ্চে এনে ভোটের লড়াইয়ে নামার পরিকল্পনা নেতাদের। কথাবার্তা চলছে গণতন্ত্র মঞ্চে থাকা বাম দলগুলোর সঙ্গেও। নেতাদের আশা, নভেম্বরের শুরুতে চূড়ান্ত রূপ পেতে পারে আলোচনা।
 
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ সময় সংবাদকে বলেন, ‘এখন আমরা দলীয় প্রার্থী ঠিক করছি। জোট হওয়ার পর সেগুলো সমন্বয় করে জোটবদ্ধভাবে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। বাম গণতান্ত্রিক জোট তো আছেই, এর বাইরে ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা, বাংলাদেশ জাসদ, গণফোরাম, ঐক্য ন্যাপ--এসব পার্টির সঙ্গে আমাদের আলাপ-আলোচনা চলছে। এর বাইরেও গণতন্ত্র মঞ্চে থাকা দলগুলোর সঙ্গেও প্রাথমিক কথাবার্তা হচ্ছে।’
 
 
বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন, 

তারা আমাদের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কতজন আমাদের সঙ্গী হন। আমার বিশ্বাস, আমরা সমমনা দলগুলো একটা প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক জোট করতে সমর্থ হব। আলোচনা এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী মাসেই এটা সম্পন্ন করতে পারবো বলে আশা করি।

বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন বলেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে, বিএনপির একটা বাক্স, ইসলামপন্থিদের রয়েছে আরেকটা বাক্স। আর আমরা একটা বাক্স তৈরি করতে চাই, যেটা গরিব মানুষের বাক্স। সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মধ্য দিয়ে আমরা একটা নতুন কম্পোজিশন তৈরি করতে চাই, যেই কম্পোজিশনে গরিব-মেহনতি মানুষের স্বার্থে একটা সরকার কায়েম করার জন্য লড়াই করা হবে।’      
 
নেতারা আরও জানাচ্ছেন, কেবল দলীয় ব্যক্তি নয়, সমাজে গ্রহণযোগ্য প্রগতিশীল দলহীন লোকদেরও প্রার্থী তালিকায় রাখতে চায় বাম জোট।
 
অন্যদিকে, বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী গণতন্ত্র মঞ্চে থাকা বাম দলগুলো অবশ্য খোলা রাখছে সব পথই। তবে অগ্রাধিকার পাচ্ছে বিএনপির সঙ্গেই নির্বাচনী সমঝোতা করার।
 
বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, 

যুগপতের শরিক হিসেবে তো আমাদের অগ্রাধিকার রয়েছে। তাদের দিক থেকেও প্রবল আগ্রহ আছে। আমাদের দিক থেকেও আগ্রহের বাস্তব কারণ আছে। এর বাইরে বামপন্থি প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ধারার যারা আছেন, তাদের সঙ্গেও আমরা কথাবার্তা বলব।    

গত ৯ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে ১২০ প্রার্থীর নামও ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।