Image description

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) নাম পরিবর্তন করে ‘জাতীয় ছাত্রশক্তি’ নামকরণ করা হয়েছে। স্বাধীন ছাত্র সংগঠনের পরিবর্তে এটি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সহযোগী সংগঠন হিসেবে কাজ করবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে আবু সাঈদ কনভেনশন হলে ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ পুনর্গঠন ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণের লক্ষ্যে জাতীয় সমন্বয় সভা’য় এ ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে পরিবর্তিত সংগঠনের কমিটির নাম প্রকাশ করা হয়নি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার, সদস্যসচিব জাহিদ আহসান প্রমুখ।

সভায় এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘যেকোনও মূল্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। এটি বাস্তবায়নের পরিপূর্ণ নিশ্চয়তা পেলে তবেই সই করবে এনসিপি।’

তিনি বলেন, ‘‎সইয়ের পর দুইটা পক্ষ হয়ে গেছে। এক পক্ষ সই প্রত্যাহার করতে চায়। আরেক পক্ষ কালি দিয়ে গেড়ে দিতে চায়।’

আখতার আরও বলেন, ‘আর যেন কেউ গণরুম-গেস্টরুম বানাতে না পারে, সে জন্য শিক্ষার্থীদের সোচ্চার থাকতে হবে।’

প্রসঙ্গত, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আত্মপ্রকাশ করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ।

তখন সংগঠনটি বলেছিল, ‘স্টুডেন্ট ফাস্ট, বাংলাদেশ ফাস্ট’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সংগঠনটি কার্যক্রম পরিচালনা করবে। দলীয় লেজুড়বৃত্তি না করা, অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করার কথাও বলেছিল সংগঠনটি। সদ্য অনুষ্ঠিত চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে তাদের প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীরা তেমন সাফল্য দেখাতে পারেনি। এতে কার্যক্রম পুরোপুরি স্থগিত করার গুঞ্জন উঠে। এরই মধ্যে নতুন রূপে ফিরেছে সংগঠনটি।