
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে থাকা দলগুলো এখন পারস্পরিক দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী সব রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) তোপখানা রোডের ফারইস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স অডিটোরিয়ামে আপ বাংলাদেশ ও এবি পার্টির আয়োজনে জুলাই গণঅভ্যথানের আকাঙ্খা ও নির্বাচনী ঐক্য: ক্ষমতা না জনতা শীর্ষক আলোচন সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকবেই, এই মতবিরোধের সুযোগে যেন ফ্যাসিবাদ ফিরে না আসে। বিভেদের কারণে জুলাইয়ের পক্ষের শক্তিগুলোর মাঝে সংঘাতে জড়ানোর সুযোগ নাই । মত, পথ আলাদা থাকবে, সমালোচনা হবে সেটিকে মেনে নিয়েই সামনে এগোতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, ফ্যাসিবাদ আবার কখনো ফিরে আসলে সকলকে গ্রাস করবে, জুলাইয়ের পক্ষের শক্তিদের শত মনোমালিন্য থাকা সত্ত্বেও আমাদের ঐক্য অটুট রাখতে হবে।
মঞ্জু বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ও ক্ষমতার রাজনীতিকে কেন্দ্র করে যে কাদা-ছোড়াছুঁড়ি হচ্ছে , তা কাম্য নয়। দলগুলোর মধ্যে এমন বিভেদের জেরে ফ্যাসিবাদী শক্তি ফিরে আসার পথ তৈরি হয় কি না, সে আশঙ্কার কথা বলেন তিনি।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, রাজনীতিতে মতপার্থক্য থাকবেই, কিন্তু আদর্শের ক্ষেত্রে কখন আপোষ করা যাবে না। সকল দলকে মনে রাখতে হবে- ফ্যাসিবাদকে উৎখাতে আমরা যে ভাবে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম ভবিষ্যতেও যেন তেমন অটুট থাকি । নয়তো ফ্যাসিবাদ মাথা চাড়া দেবে।
এসময় তিনি আরও বলেন, আমাদের সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্যের ভিত্তি হবে জুলাই। অতিতের নির্যাতনের কথা মনে রেখে আমাদের সকলকে ভুলে যেতে হবে সকল ভেদাবেদ। যদি জুলাই গণঅভ্যুত্থান সফল না হতো, তাহলে আমাদেরকে দিনের পর দিন কারাগারে কাটাতে থাকতে হতো, নেমে আসতো অবর্ণনীয় নির্যাতন। এসব কথা রাজনৈতিক দলগুলোর স্মরণ রাখা দরকার।
মঞ্জু বলেন, আমাদের সকল রাজনৈতিক দলের মনে রাখা দরকার, রাষ্ট্রক্ষমতা মানেই ইচ্ছেমতো জনগণকে শোষণ করার নয়, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি-দখলস্বত্বের মাধ্যমে অঢেল সম্পদ বানানোর লাইসেন্স যারা পেয়েছিল আজ তারা উপলব্ধি করছেন, ক্ষমতার অপব্যবহারের পরিণাম কত ভয়াবহ। ইতিহাসে দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের করুণ পরিণতির কথা লেখা থাকলেও ক্ষমতা পেলে সবাই তা ভুলে যায়। জনগণ এবার তাই গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এর অবসান ঘটানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। অতিতের রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ নেই। এবং তা রুখে দেবে আমাদরে জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ছাত্রজনতা।
শীর্ষনিউজ