
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগ–বিএনপি নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে দুপক্ষের মধ্যে টানা তিন ঘন্টা দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় টর্চ লাইটের আলো জ্বালিয়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে সংঘর্ষে জড়ায় দুগোষ্ঠী।
বুধবার (২২ অক্টোবর) রাত ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলা এ সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচলও তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, ২/৩ দিন আগে আওয়ামী লীগ–বিএনপি নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সুহিলপুর ইউনিয়নের ওকিল গোষ্ঠীর সাদ্দাম হোসেন আজিজ গোষ্ঠীর আক্তার হোসেনকে চড় মারেন। এরপর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বিষয়টি মীমাংসায় আনতে বুধবার (২২ অক্টোবর) রাতে নন্দনপুর বাজারে গ্রাম্য সালিশ ডাকা হয়।
সালিশে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং হঠাৎ দুই পক্ষই টর্চ লাইট জ্বালিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
সংঘর্ষ চলাকালে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে তিন ঘণ্টা যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। এতে মহাসড়কে ভোগান্তিতে পড়েন বহু যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিক।
খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। তবে সংঘর্ষের তীব্রতা বাড়তে থাকায় পরে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ সময় সদর থানার পুলিশ সদস্য জিয়াউরসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
সংঘর্ষের সময় উভয়পক্ষের লোকজন বাড়িঘর, দোকানপাটে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। বাজারের একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে প্রথমে পুলিশ গিয়ে চেষ্টা করে নিয়ন্ত্রণে আনতে। পরে যৌথবাহিনী এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।