
পছন্দের প্রতীক শাপলা নির্বাচন কমিশনের তালিকায় না থাকায় তা পাচ্ছে না জাতীয় নাগরিক পার্টি। তাদেরকে প্রতীক বেছে নিতে ৫০টি অপশন দিয়েছে ইসি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই।
তার এমন বক্তব্যের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এনসিপির নেতারা। তারা এখনো শাপলা প্রতীকে অনড়।
জাতীয় নাগরিক পার্টির দলীয় প্রতীক হিসেবে শাপলার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার। মঙ্গলবার বিকেলে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘ইলেকশন কমিশনের বিকল্প আছে; শাপলার কোনো বিকল্প নাই।’
এদিকে এনসিপি নিজেদের নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে শাপলাই পাবে বলে দাবি করেছেন দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘আগামীর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি। আমরা মনে করছি—আগামীর বাংলাদেশের উত্তরণের পথে এনসিপি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকবে এবং আগামীতে কারা সরকার গঠন করবে, এনসিপি সে ক্ষেত্রে নির্ণয়কের ভূমিকায় থাকবে।’
নেত্রকোনায় নাগরিক পার্টির সমন্বয় সভায় যোগ দিয়ে এমন বক্তব্য দেন সারজিস আলম।
এ ছাড়া দলের যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বিষয়টা শুধু শাপলা প্রতীক ইস্যু না।
তিনি আরো বলেন, ‘কোনো প্রতিষ্ঠান বেআইনি, বৈষম্যমূলক ও স্বেচ্ছাচারী আচরণ করতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনকে স্পষ্ট করতে হবে তারা কি জনগণের কাছে মুখাপেক্ষী নাকি আপাত ক্ষমতার জন্য অপেক্ষমাণ কোনো রাজনৈতিক দল বা বন্দুকওয়ালা কারো মুখাপেক্ষী? জনতার মার্কা শাপলা। এনসিপির মার্কা শাপলা। শাপলা দিতে হবে।’
তার এই পোস্টটি শেয়ার করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামও।
নির্বাচন কমিশনের প্রতীক তালিকায় শাপলা নেই। ইসির ব্যাখ্যা, তালিকায় না থাকায় এনসিপি শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না। তালিকায় শাপলা যুক্ত করার সম্ভাবনাও কম। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার ইসি জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘কমিশন মনে করে, শাপলা প্রতীক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার দরকার নেই।’