
হবিগঞ্জে জামায়াত নেতা মহিবুর রহমান চৌধুরী হত্যা মামলায় ১৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এদের মধ্যে মামলার প্রধান আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।মঙ্গলবার হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক সৈয়দ মো. কায়সার মোশারফ ইউসুফ এ রায় দেন।
রায়ে মামলার প্রধান আসামি শফিকুল আলম চৌধুরীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং বাকি ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ২ জনকে বেকসুর খালাস এবং বিচার চলাকালীন মৃত্যুবরণ করায় ৩ জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার পর আদালত প্রাঙ্গণে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। রায়ে অসন্তুষ্ট হয়ে বাদিপক্ষ আসামিদের ওপর হামলা করতে উদ্যত হলে সদর মডেল থানার বিপুল সংখ্যক পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সতর্ক রয়েছে বলে জানায় সদর মডেল থানা কর্তৃপক্ষ।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গুলজার খান জানান, “আমরা সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করেছিলাম। তবে এ রায়ে আমরা মোটামোটি সন্তুষ্ট।”
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম শাহাবুদ্দিন শাহিন বলেন, “রায় ঘোষণার পর বাদিপক্ষ উত্তেজিত হয়ে আসামিদের ওপর হামলা চালাতে উদ্যত হয়। আমরা তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিই। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সে জন্য পুলিশ সতর্ক রয়েছে।”
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, জামায়াত নেতা মহিবুর রহমান চৌধুরীকে ২০১৩ সালের ১৭ জুন রাতে শহরের পুরানমুন্সেফি এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় তার বড়ভাই মুজিবুর রহমান চৌধুরী বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৫ সালে সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক সাজিদুর রহমান মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আজ এ রায় ঘোষণা করেন।