Image description

ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের সেক্রেটারি মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, একটা শিশু জন্মগ্রহণ করার পর আকিকা দিয়ে তার নাম রাখতে হয়। এই সরকার কি সাংবিধানিক সরকার? ‘অন্তর্বর্তীকালীন’ কোনো শব্দ কি আমাদের সংবিধানে আছে? তাহলে এই সরকারকে আইনি ভিত্তি তৈরি করে তার নাম রাখতে হবে। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি যদি না হয়, সবার আগে এই সরকার আইনের মারপ্যাঁচে পড়ে সবচেয়ে বেশি বিচারের মুখোমুখি হবে। সুতরাং ড. ইউনূস সাহেব যদি এটা বুঝতে না পারেন, তাহলে বিপদ কিন্তু উনারই সবচেয়ে বেশি হবে।

বুধবার (৮ অক্টোবর) রাতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে লক্ষ্মীপুরে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহরের ঐতিহ্য কনভেনশন সেন্টারে জেলা জামায়াতের ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়।

ড. রেজাউল করিম বলেন, যারা বলছে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দিতে হবে, ডিসেম্বরে নির্বাচন না দিলে যমুনা ঘেরাও করা হবে, কোন সরকারের কাছে নির্বাচন প্রত্যাশা করা হচ্ছে? যে সরকার পালিয়ে গেছে, তাদের মেয়াদ ২০২৯ সাল পর্যন্ত। যদি আপনি আইনি ভিত্তি নতুন করে তৈরি না করেন, তাহলে আপনাকে ২৯ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

 
তাহলে যারা আমরা বলি, এখনই নির্বাচন দিতে হবে, তাদেরকে আইনি ভিত্তি তৈরি করেই নির্বাচনের দাবির বৈধতা নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, বিগত সরকার অর্থনীতিতে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। আজকে যে সন্তানটি জন্মগ্রহণ করছে, সে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে জন্মগ্রহণ করছে। বাংলাদেশ যদি দুর্নীতি মুক্ত হয়, প্রশাসন যদি দুর্নীতি মুক্ত হয়, আর জাকাতভিত্তিক অর্থব্যবস্থাকে যদি রাষ্ট্র পরিচালনার ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়, তাহলে আমরা দেখেছি গবেষণা করে বাংলাদেশ ৫-১০ বছরের মধ্যে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়াকে অতিক্রম করে তার থেকে উন্নত স্থানে যাবে।

লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের আমির এসইউএম রুহুল আমিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির নজির আহমেদ, টুমচর ইসলামীয়া কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ হারুন আল মাদানি, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি এআর হাফিজ উল্যাহ, সহকারী সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন মাহমুদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা কমিটির সেক্রেটারি জহির উদ্দিন, জেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি ফারুক হোসাইন নুরনবী, লক্ষ্মীপুর শহর জামায়াতের আমির আবুল ফারাহ নিশান ও শহর শিবির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।