বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘গাছ কাটা পড়েছে, কিন্তু আগাছা রয়ে গেছে। স্বৈরাচার পালিয়েছে, তার দোসররা আছে। প্রয়োজনে দেশটাকে গড়ে তোলার স্বার্থে তাদের বিরুদ্ধে আবারও যুদ্ধ করতে হবে। এ দেশের মানুষ বোকা নয়।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গার টাউন ফুটবল মাঠে জেলা জামায়াত আয়োজিত কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা এমন একটি সমাজ চাই, যে সমাজ হবে দুঃশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত। যেখানে দুর্নীতি সেখানে দুঃশাসন নিশ্চিত।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অসংখ্য কর্মীকে খুন করা হয়েছে। ক্রসফায়ারের নামে আমাদের অসংখ্য কর্মীকে খুন করা হয়েছে। আমাদের মনে অনেক দুঃখ ছিল। আমাদের কলিজার টুকরা সন্তান ছাত্র-যুবকদের আন্দোলনে ফ্যাসিবাদকে এ দেশ থেকে বিদায় করা হয়েছে। তারা এ দেশের সম্পদ লুণ্ঠন করে পালিয়ে গেছে। মানুষের কাছে মুখ দেখানোর সৎসাহস তাদের নেই।’
কর্মিসভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট মো. রুহুল আমিন। সভায় বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নেতা খন্দকার আলী মহসিন, আবু বকর মোহাম্মদ আলী আজম, অধ্যাপক আবুল হাশেম, অধ্যাপক এমডি বাতেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের সাবেক আমির আনোয়ারুল হক, সাবেক নায়েবে আমির আজিজুর রহমান, জেলা জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল, আসলাম অর্ক, শোভন দাস প্রমুখ।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘সাড়ে ১৫টা বছর আমরা কাজ করেছি চুপি চুপি। কারণ একটি ফ্যাসিবাদ সরকার জামায়াতের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দেওয়া হয়েছিল। আমাদের জঙ্গি আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। এভাবে গোটা জাতির ওপর অন্যায় আচরণ করা হয়েছিল। আমাদের নেতাদের আমাদের বুক থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমাদের দলীয় কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে দেশটাকে গড়তে চাই। ওরা এই দেশটাকে কঙ্কাল করেছে। আমরা এই দেশের গায়ে চামড়া লাগিয়ে গড়তে চাই।’