Image description
 

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডা. মোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিন সাংবাদিককে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে। 

 

এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার (১ অক্টোবর) রাতে রায়পুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিন সংবাদকর্মী।  

জানা যায়, ডা. মোফাজ্জল হোসেন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে তিন সাংবাদিকের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, সবাই এই সব সাংবাদিক লেবাসধারী লোকদের ভুয়া নিউজের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদের দুর্গ গড়ে তুলুন এবং সমাজের চাঁদাবাজি বন্ধ করুন। এখনই সময় উচিত জবাব এবং শিক্ষা দেওয়ার এসব কার্যকলাপের। এদের কারণে সমাজ ও পরিবেশ প্রতিনিয়ত বিনষ্ট। সাংবাদিকতা নামক পেশাটাও তাদের মতো লোকদের জন্যও এখন হুমকির মুখে। আসুন সবাই মিলে এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই।    

মন্তব্যটি প্রকাশের পর সাংবাদিক সমাজের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীসহ বিভিন্ন মহল ওই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। এ ঘটনায় জাকির হোসেন (আমার দেশ), মোবারক হোসেন (গণমুক্তি) ও নাঈম হোসেন (সকালের সময়) রায়পুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। 

তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডা. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, জাকিরসহ তিনজন আমার অফিসে এসে বিরক্ত করেছেন এবং চাঁদা দাবি করেছেন। তাই আমি আমার ফেসবুকে প্রতিবাদ জানিয়েছি। অপসাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আমি আইনি লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত আছি। 

 

রায়পুর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তাবারক হোসেন আজাদ বলেন, প্রাণী সম্প্রসারণ কর্মকর্তার এ ধরনের কর্মকাণ্ডে সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এমন অপপ্রচার সাংবাদিক সমাজ মেনে নেবে না। ওই কর্মকর্তাকে প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, নাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

রায়পুর থানার এসআই সুদীপ্ত নাথ দীপ্ত জানিয়েছেন, ডা. মোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। রোববার (৫ অক্টোবর) আদালতে যথাসময়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।  

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. একেএম ফজলুল হক বলেন, অনিয়ম থাকলে যেকোনো সাংবাদিক লিখতে পারেন। তবে অসত্য সংবাদের জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়, কিন্তু সাংবাদিকদের জড়িয়ে ফেসবুকে অপপ্রচার ছড়ানো ঠিক নয়। বিষয়টি আমি তদন্ত করব।