
সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় আওয়ামী লীগের লোকজন যেন প্রকাশ্যে থাকতে না পারে’- সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনারের এমন এক ‘নির্দেশনা’ গত কয়েকদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। এবার এক তৃণমূল আওয়ামী লীগ কর্মীর সঙ্গে এসএমপি কমিশনারের একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছে।
পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরীকে তৃণমূল আওয়ামী লীগের কর্মী পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তি বলেন- ১৬ বছর আমরা আপনার কি ক্ষতি করেছি যে, আপনি প্রতিদিন দুইজন করে সিলেটের আওয়ামী লীগ কর্মী ধরার কথা বলেছেন। আপনারা পুলিশ হত্যার বিচার না চেয়ে আমাদের পেছনে লেগে আছেন। আমরা কি ক্ষতি করেছি?
এসময় এসএমপি কমিশনার ওই ব্যক্তির পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে তৃণমূল আওয়ামী লীগ কর্মী বলে দাবি করেন।
কল রেকর্ডটি লাউড স্পিকারে দিয়ে ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এর আগে গত সোমবার মহানগর পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরী স্বাক্ষরিত একটি নির্দেশনার অংশবিশেষ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ওই নির্দেশনায় বলা হয়, ডিসেম্বর/২০২৫ খ্রি. মধ্যে এসএমপির আওতাধীন এলাকায় কোনো আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের লোকজন প্রকাশ্যে যাতে এলাকায় না থাকতে পারে, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সব অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) নির্দেশনা প্রদান করা হলো। এসি, এডিসি ও ডিসিরা এ বিষয়ে তদারকি করবেন।’
বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে মহানগর পুলিশ গত মঙ্গলবার বিকেলে সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনারের নির্দেশনা নিয়ে ফেসবুকে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- সম্প্রতি বিভিন্ন ব্যক্তি ফেসবুকে পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের নির্দেশনা বলে একটি বক্তব্য লিখে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছেন। প্রকৃত তথ্য হলো- পুলিশ কমিশনার অফিসারদের অভ্যন্তরীণ সভায় বলেছেন- ‘নিষিদ্ধ ঘোষিত দলের কার্যক্রম নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। তারা প্রকাশ্যে যাতে কোনো মিছিল-মিটিং করতে না পারে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
কল রেকর্ড বিষয়ে বুধবার রাতে মহানগর পুলিশ কমিশনারের সাথে যোগাযোগ করা হলে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।