
নিবন্ধন পাওয়া নিয়ে জটিলতা নেই। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত প্রতীক মিলবে কি-না তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)। নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে শাপলা-সাদা শাপলা বা লাল শাপলা এর কোনটিই পাওয়ার সম্ভাবনা নেই দলটির। যদিও দ্বিতীয় বারের মতো আবারও এই প্রতীক চেয়ে আবেদন করেছে এনসিপি।
চ্যানেল 24-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে এনসিপির নেতারা জানান, প্রতীক হিসেবে শাপলা না দেয়ার কোন আইনি ভিত্তি নেই ইসির। শাপলা প্রশ্নে ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, শাপলা প্রশ্নে আমরা যেটা বলবো আমরা মজলুম। নির্বাচন কমিশন এখানে অত্যাচারের ভূমিকা পালন করেছে। আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমার আন্দোলন জারি রাখবো।
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, ইসি একটার পর একটা কারণ দেখালেই কোনটাই যৌক্তিক নয়।
এই কেন্দ্রীয় নেতাদের অভিযোগ, ইসিতে ভর করেছে বড় দলের প্রভাব। এ অবস্থায় আগামী নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হবে কিংবা কতটুকু নিশ্চিত হবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। তা নিয়ে শঙ্কা আছে এনসিপির।
নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, শাপলা প্রতীক খুব অল্প সময়ে ধানের শীষের কাছাকাছি জনপ্রিয়তা পাওয়াতেই এনসিপি পছন্দের প্রতীক পাচ্ছে না। এই ইসি যেভাবে চলছে সেভাবে তারা দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারবে কিনা সে বিষয়ে আমরা সন্দিহান।
সামান্তা শারমিন বলেন, এই নির্বাচন সুষ্ঠু হবার কোন সম্ভাবনাই আমরা এই ইসির মধ্যে দেখছি না। সরকারও যত না একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতি যত্নশীল না হয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্ষমতা হস্তান্তর করে চলে যেতে চায়।
গুঞ্জন আছে, এনসিপি সক্রিয় বড় দলগুলোর সাথে আসন ভাগাভাগিতে যাচ্ছে কি-না- এ প্রশ্নের। এ প্রসঙ্গে নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারীর সাফ জবাব, আসন তার দলের কোনো বড় ফ্যাক্টর নয়। তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে এখন পর্যন্ত এ নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি।
সম্প্রতি কাছাকাছি এসেছে এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদ। তারুণ্য নির্ভর এই দুই দল মিলে গঠিত হতে পারে নির্বাচনী জোট। অবশ্য গণঅধিকার সভাপতি নুরুল হক নুর চিকিৎসার জন্য বিদেশে থাকায় আনুষ্ঠানিক আলোচনা এখনো শুরু হয়নি।