Image description

সম্প্রতি আফগানিস্তানে অবস্থিত একটি বিমান ঘাঁটি নিয়ে ফের উত্তেজনা শুরু হয়েছে কাবুল-ওয়াশিংটনের মধ্যে। আফগানিস্তানে থাকা বাগরাম বিমান ঘাঁটি নিজেদের বলে দাবি করে সেটি ফেরত চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফেরত না দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এসব হুমকি ধামকি তোয়াক্কা না করে ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে তালেবান সরকার।

এমন পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের অন্যতম পারমাণবিক শক্তিধর তিন দেশসহ চারটি দেশ। বার্তা সংস্থা আনাদোলুর খবরে বলা হয়, চীন, রাশিয়া, ইরান ও পাকিস্তান যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে কোনো সামরিক ঘাঁটি পুনঃস্থাপনের জন্য যে কোনো পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে।

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও ​​জিয়াকুন বেইজিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের ফাঁকে আফগানিস্তান নিয়ে চার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিনিধিরা একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন।

বৈঠকের বিষয়ে গুও আরও বলেন, এটি আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলির সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং জাতীয় মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধার পূর্ণ প্রতিফলন।’

চার দেশের বৈঠক নিয়ে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধার ওপর জোর দেয়া হয়েছে বৈঠকে। সেখানে আফগানিস্তান এবং ওই অঞ্চলে সামরিক ঘাঁটি পুনঃস্থাপনের দৃঢ় বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করা হয়।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা বৈঠকের ছবিতে দেখা যায়, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগচি, আফগানিস্তান বিষয়ক চীনা রাষ্ট্রদূত ইউ জিয়াওয়ং এবং পাকিস্তানের একজন সিনিয়র কূটনীতিক উমর সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।

এদিকে কাবুল তার আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিয়ে আলোচনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং ট্রাম্পকে ২০২০ সালের দোহার চুক্তিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

এর আগে দুই দশক ধরে দীর্ঘ যুদ্ধের পর আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিদেশি বাহিনী সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের পর ২০২১ সালের আগস্ট ক্ষমতায় ফিরে আসে তালেবান।