
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে বহুল আলোচিত সাদাপাথর লুটকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির উপজেলা সভাপতি সাহাব উদ্দিনের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার তাকে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক ধ্রুব জ্যোতি পাল ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশ তার ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি রতন শেখ।
এর আগে গত শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে সিলেট নগরীর কুমারপাড়া এলাকা থেকে সাহাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯)। পরে তাকে সিলেট কোতোয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়।
র্যাব জানায়, আলোচিত সাদাপাথর লুট ছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও ৭টি মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ আগস্ট বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সাহাব উদ্দিনের সব পদ স্থগিত করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চাঁদাবাজি, দখলবাজিসহ বিএনপির নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের সুষ্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিনের দলীয় সব পদ স্থগিত করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
শূণ্য থেকে ব্যাপক বিত্তশালীতে পরিণত হওয়া সাহাব উদ্দিন সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন।
তিনি ভোলাগঞ্জ এলাকার মৃত আব্দুল বারীর ছেলে। এক সময় তিনি কোম্পানীগঞ্জে ভারতীয় নাসির বিড়ি এবং পাথর কোয়ারীতে শ্রমিকের কাজ করতে বলে এলাকা সূত্রে জানা গেছে।
৫ আগস্টের পর তার বিরুদ্ধে ভূমিদখল, ব্যাপক পাথর লুটপাট ও চাঁদাবাজির একাধিক অভিযোগ ওঠে।
প্রথমে জেলা কমিটির পক্ষ থেকে তাকে শোকজ করা হলেও তাকে থামানো যায়নি। সাদাপাথর লুটপাটে দেশব্যাপী আলোচিত ঘটনার মূলহোতা এই সাহাব উদ্দিন। দুদকের তালিকাও তার নাম রয়েছে।