Image description

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, গণতান্ত্রিক পরিবেশে সব বিষয়ে রাজনৈতিক দল একমত হবে না, এটাই স্বাভাবিক। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের কিছু ভিন্ন ভিন্ন নীতি ও কর্মসূচি থাকে। তবে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে বর্তমানে আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মঈন খান বলেন, ‘দেশের দরিদ্র মানুষের ভাত, কাপড় ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আগে জাতীয় নিরাপত্তার আলোচনার বিষয়টি মুখ্য নয়। এখন সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও জরুরি। পাশাপাশি গণমাধ্যমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অতীত নয়, বর্তমান বাস্তবতায় আমাদের সামনের দিকে তাকাতে হবে। বর্তমান প্রজন্ম সেটাই চায়। আমাদের সবাইকে তারুণ্যের চাওয়াকে গুরুত্ব দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থী ও জনতা বিরাট এক ধাক্কা দিয়ে স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করেছে। এখন আমাদের দেশ গঠনের দিকে তাকাতে হবে।

আমাদের জুলাই ঘোষণা হয়েছে। জুলাই সনদের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কাজ করছে। এখানে সবাই সব বিষয়ে একমত হবে, এটা আমি কখনো চিন্তাও করি না। আমাদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ বিষয়ে একমত হয়েছে। সব দল ও সব মানুষ সব বিষয়ে একমত হবে, এটা হতে পারে না। কিছু কিছু বিষয়ে ভিন্নমত থাকতে পারে। মতদ্বৈধতাও থাকতে পারে। তবে এ নিয়ে আমাদের কাউকে অধৈর্য হলে চলবে না।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান বলেন, ‘বর্তমানে দেশের সব রাজনৈতিক দলের সবাই একমত যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য। এ বিষয়ে আমরা সবাই একমত। এখানে আমাদের মধ্যে এ বিষয়ে কোনো মতদ্বৈধতা নেই।’

তিনি আরো বলেন, ‘পলাতক শেখ হাসিনার সরকার পলায়নের আগে পুলিশ ও প্রতিরক্ষা বাহিনীকে দিয়ে হাজারো ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। এটি তারা করেছে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য। রাষ্ট্র কিংবা জনগণের নিরাপত্তার জন্য তারা সেটি করেনি। কাজে রাষ্ট্রের নিরাপত্তার চেয়ে আমাদের এসব বিষয়ে আলোচনা করা জরুরি।’