
পটুয়াখালীতে বিএনপির নেতাকর্মীদের লাগাম টানতে জেলা বিএনপি সতর্ক বার্তা জারি করেছে। নেতাকর্মীদের স্থানীয় সালিশ, দাঙ্গা-ফ্যাসাদ কিংবা পক্ষপাতদুষ্ট মধ্যস্থতাকারী কর্মকাণ্ড থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এই সতর্কবার্তায়। মঙ্গলবার রাতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান টোটনের স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জেলা বিএনপির এই নির্দেশনাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ও সচেতন মহল।
নির্দেশনার মূল বার্তায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) একটি জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামী সংগঠন। এ দলের প্রতিটি কর্মী জনগণের আস্থার প্রতীক এবং আন্দোলন-সংগ্রামের অগ্রভাগের সৈনিক। দলীয় ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখা এবং সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কোনো নেতাকর্মীকে সালিশ বা পক্ষপাতমূলক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে হবে।
নেতাকর্মীদের প্রতি দলীয় কর্মসূচি ও সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জনগণের সঙ্গে সদাচরণ, ভদ্র ভাষা ব্যবহার এবং মানবিক আচরণের মাধ্যমেই বিএনপি নেতাকর্মীদের কাজ করতে হবে। জনগণই দলের শক্তি এবং আন্দোলনের মূলভিত্তি- তাই জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে দায়িত্বশীল ও সহমর্মী আচরণ প্রদর্শন করতে হবে।
নির্দেশনায় কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়, কোনো নেতাকর্মী এই নির্দেশনা অমান্য করলে তা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হিসেবে গণ্য হবে এবং তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা বিএনপির এই ঘোষণাকে সাধুবাদ জানিয়ে স্থানীয় একাধিক নেতাকর্মী বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত বিএনপির জনসম্পৃক্ততা আরও বাড়াবে এবং নেতাকর্মীদের মধ্যে জবাবদিহিতার পরিবেশ তৈরি করবে। রাজনৈতিক অঙ্গনে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠায় এটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ।
এই নির্দেশনার মাধ্যমে পটুয়াখালী জেলা বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে শৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি একটি সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক চর্চার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায়। সময়ই বলে দেবে, এই নির্দেশনা মাঠপর্যায়ে কতটা বাস্তবায়ন হয় এবং দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় কতটা কার্যকর প্রভাব ফেলবে।
হঠাৎ নির্দেশনা জারীর ব্যাপারে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মজিবুর রহমান টোটন যুগান্তরকে বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জনগণের কল্যানের কথা চিন্তা করে নেতাকর্মীদের এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশনা পরিপন্থি কেউ কাজ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।