
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে পরাজিত প্রার্থী ও ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের নেতা আরিফুল্লাহ আদিব বলেছেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি জায়গা যেখানে ছাত্রশিবিরের নাম শুনলেই পাখির মতো গুলি করে মেরে ফেলা হয়। অথচ এখানে আসা অতিথি পাখি মারলেই বিচার হয়।
শনিবার রাতে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর তিনি এ মন্তব্য করেন। নির্বাচনে আদিব ২ হাজার ৩৯২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আব্দুর রশিদ জিতু ৩ হাজার ৩৩৪ ভোট পেয়ে ভিপি নির্বাচিত হন।
আরিফ উল্লাহ বলেন, এই জায়গায় আমরা ছাত্রশিবির জাকসু নির্বাচনে একটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিতে পেরেছি। সেখানে ২৫ জনের মধ্যে ২০ জনই জয়লাভ করেছে। আলহামদুলিল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ভাইবোনদের ধন্যবাদ জানাই। একই সঙ্গে স্মরণ করছি যারা আহত হয়েছেন। আল্লাহর কাছে দোয়া করি যেন তাদের জীবন সহজ করে দেন।
আবিদ নির্বাচিত ২০ জন শিবির সমর্থিত প্রতিনিধি ও আরও ৫ জনের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, তারা যেন এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আধুনিক ও বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে পারে।
ব্রিফিংয়ে আদিব বলেন, ছাত্রশিবির করার কারণে ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ছয় বছরে দেড় শতাধিক নেতাকর্মীকে ছাত্রত্ব না নিয়েই ক্যাম্পাস ছাড়তে হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৯৪ সালের ১৬ আগস্ট ভাই কামরুল ইসলামকে আমরা হারিয়েছি। ভর্তি পরীক্ষার ভাইভা দিতে এসে শুধুমাত্র শিবির সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এছাড়া আরেক ভাইকে শিবির করার কারণে শেখ হাসিনার পুলিশ গুলি করে পঙ্গু করে দেয়।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রকাশ্যে নিজেদের অবস্থান জানায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির। বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা আগে মনে করতেন, শিবির এখানে নিষিদ্ধ। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।