Image description

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও উপস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেছেন, গত বছর ১৬৭ জন সাংবাদিকের এক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়। এটা সরাসরি রিপোর্টিং এক্সেসের গলায় ছুরি চালানোর মতো। সম্পাদক ও অধিকার গোষ্ঠীগুলো একে ভীতিকর নজির বলছে। প্রশ্ন হলো— হাতিয়ার বদলেছে, নকশা বদলায়নি কেন?  

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক ভিডিওতে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘এখন কেবল নোটিশে নয় নোটিফিকেশনেরও একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো বারবার সতর্ক করেছে। রিপোর্টারস উইথ বর্ডারস ২০২৪ সালের আন্দোলনের সময় অন্তত পাঁচজন সাংবাদিক নিহত ও শতাধিক আহতের কথা তুলে ধরে অন্তর্বর্তী কর্তৃপক্ষকে পুরনো দমন পদ্ধতি বন্ধ করতে বলেছে। তাদের ভাষায় আগস্টের পরও সাংবাদিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি। আরো চিন্তার জায়গা হলো— প্রশাসনিক পুরনো রিফ্লেক্স।

 
অ্যাসাইনমেন্ট করার কাভার করতে গেলে অন দ্য স্পট হামলা-হুমকি আর পর্দার আড়ালে আইনি ঝামেলা।’

জিল্লুর রহমান বলেন, ‘প্রবীণ সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের আত্মহত্যার আগে লেখা খোলা চিঠিটা সামাজিক মিডিয়ায় ঝড় তুলেছিল। কিন্তু ঝড় থেমে গেলে আবার সেই পুরনো জায়গা। কারো কারো চাকরি যায়, কারো ওপর মামলা হয়, কোথাও মব ঢুকে পড়ে নিউজরুমে।

 
আর আমরা কয়েকদিন হা-হুতাশ করে আবার স্বাভাবিক। এই স্বাভাবিকটাই আসলে অসুস্থতা। কারণ রাষ্ট্র রাজনীতি অর্থনীতির সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের সম্পর্কটা একেকটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটা একটা সিস্টেম। সিস্টেমটা যদি ব্রেক হয়, একদিকে আইনের ভয়, আরেকদিকে গোয়েন্দা সংস্থার ফোন।
 
অন্যদিকে মালিক পক্ষের ব্যবসায়িক চাপ। সব মিলেই সাংবাদিকতা এমন এক মাইনফিল্ড হয়ে ওঠে, যেখানে সত্য বলার আগে সবাই নিজের পায়ের দিকে তাকায়।’