
বৃহস্পতিবার জেন-জি বিক্ষোভকারীদের একটি দল অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন প্রধান হিসেবে নেপাল বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সাবেক নির্বাহী প্রধান কুলমান ঘিসিং-এর নাম প্রস্তাব করেছে। দলটি সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকির মনোনয়নের বিরোধিতা করে। তাদের যুক্তি, সুশীলা কারকির নিয়োগ একটি ঐক্যমতে পৌঁছানো কঠিন করে তুলবে। বিষয়টি বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ফাটলের ইঙ্গিত দেয়। পিটিআই রিপোর্ট অনুসারে, বিক্ষোভকারী জেন-জি গ্রুপের প্রতিনিধিরা, নেপালের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেল এবং সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগডেল বৃহস্পতিবার ভদ্রকালীর সেনা সদর দফতরে একজন অন্তর্বর্তী নেতা বাছাই করার জন্য আলোচনা করেছেন।
সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সাথে আলোচনা চলছে। আলোচনায় প্রধানত বর্তমান অচলাবস্থা থেকে একটি উপায় খুঁজে বের করার এবং একই সাথে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার উপর জোর দেয়া হয়েছে। এর আগে, হাজার হাজার বিক্ষোভকারী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের পদের জন্য কার্কির পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। তবে, গ্রুপের একাংশের অভিযোগ, সংবিধান সাবেক প্রধান বিচারপতিদের প্রধানমন্ত্রী হতে বাধা দেয়।
১৯৯৪ সালে ঘিসিং দেশের বিদ্যুৎ বোর্ডে যোগ দিয়েছিলেন। তার পর থেকে নেপালের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ২০১৬ সালে বিদ্যুৎ বোর্ডের সর্বেসর্বা হন। সে সময় চরম বিদ্যুৎবিভ্রাটে ভুগছিল নেপাল। কখনও কখনও দিনে ১৮ ঘণ্টাও লোডশেডিং চলত। সেই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ বোর্ডের হাল ধরেন ঘিসিং। মেটান দেশের বিদ্যুৎসঙ্কট। এ বার সেই ঘিসিংকেই প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য বেছেছে ‘জেন-জি’। তাদের কিছু অংশ আবার মনে করছে কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন্দ্র সাহ এই পদের জন্য সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী, কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে তাই কুল মান ঘিসিং-এর নাম জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। শুধু তা-ই নয়, তাঁকে ‘দেশপ্রেমিক’ এবং ‘সকলের প্রিয়’ বলেও উল্লেখ করেছেন তাঁরা। নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে বুধবার রাত পর্যন্তও শোনা যাচ্ছিল ৭৩ বছরের সুশীলা কার্কির নাম। গুরুত্বপূর্ণ এই পদের জন্য সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতিকে চাইছিলেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিভিন্ন সূত্রে খবর মিলেছে, আন্দোলনকারীদের একাংশ মনে করছেন, বয়সজনিত কারণে সুশীলা এই পদের জন্য উপযুক্ত নন।