Image description

দীর্ঘ ৩৩ বছর পর বহুপ্রতীক্ষিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ডাকসুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সঙ্গে একান্ত গোপন মিটিং করেছে নির্বাচন কমিশন।

মিটিং চলাকালে ঢাকা এক্সপ্রেসের সাংবাদিক মো. আরিফ হোসেন পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলে নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার তাকে রুম থেকে বের করে দেয় এবং বলেন, ‘এখন আমরা একটা পার্সোনাল মিটিং করবো, তুমি বের হয়ে যাও‌, পরে এসো।’

একটি ভিডিওতে দেখা যায়, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল প্রাধ্যক্ষের কক্ষে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী শেখ সাদী হাসান জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশিদুল আলম, সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার ও শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলের প্রাধ্যক্ষ ও নির্বাচন কমিশনের সদস্য খন্দকার লুৎফুল এলাহীর সঙ্গে বৈঠক করছেন। এ সময় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) প্রার্থী সাজ্জাদউল ইসলামসহ অনেক নেতাকর্মীদের মিটিংয়ে দেখা যায়।

মিটিং শেষে বের হলে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার বলেন, ‘এখানে একটি ব্যক্তিগত মিটিং হয়েছে। ছাত্রদল কিছু অভিযোগ দিয়েছে। এটা ব্যক্তিগত একটা আলাপ হওয়ায় আমরা ওই সাংবাদিককে বাইরে যেতে বলি।’

নির্বাচন চলাকালে এমন বৈঠক আচরণবিধি লঙ্ঘন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি যদি বলি, এখন সাংবাদিকরা আমার সময় নষ্ট করছে, এটা ঠিক হবে?’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা এক্সপ্রেসের সাংবাদিক আরিফ হোসেন বলেন, ‘আমি ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীদের হল প্রভোস্টের রুমে প্রবেশ করতে দেখে রুমে ঢুকি এবং পরিচয় দিই। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার আমাকে ব্যক্তিগত মিটিংয়ের কথা বলে বের করে দেন। নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে কোনও একটি প্যানেলের সঙ্গে গোপন মিটিং নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।’

উল্লেখ্য, আজ দুপুর ১টার দিকে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচন চলাকালে ছাত্রদলের সহ-সভাপতি (ভিপি) ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকসহ (এজিএস-পুরুষ) অনেক নেতাকর্মী শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীদের বাধায় ঢুকতে সক্ষম হননি।