
নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে এক বাংলাদেশি পরিবার বিক্ষোভকারীদের হামলা ও লুটপাটের শিকার হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) কাঠমান্ডুর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এই ঘটনা ঘটেছে। এসময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত যখন নেপালে অবস্থানরত জাতীয় ফুটবল দলকে সহায়তা দিতে যাচ্ছিলেন, তখন তার গাড়িতেও হামলা চালানো হয়।
মঙ্গলবারের বিক্ষোভে কাঠমান্ডুর একটি হোটেলে অগ্নিসংযোগ এবং অন্য একটি হোটেলে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। সেই হোটেলে অবস্থান করছিল তিন সদস্যের বাংলাদেশি পরিবার। বিক্ষোভকারীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর ও জিনিসপত্র লুট করে নেয়। পরিবারটি প্রথমে হোটেল পরিবর্তনের চেষ্টা করলেও আতঙ্কে নিরাপদে থাকার জন্য পরে দূতাবাসে আশ্রয় নেয়।
দূতাবাসের একটি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নেপালে থাকা জাতীয় ফুটবল দল এবং স্টাডি ট্যুরে থাকা ডিফেন্স কলেজের ৫১ সদস্যের প্রতিনিধি দলকে বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। ওই বিমানে ৩৮ জন ফুটবলার, ১২ জনের বেশি সাংবাদিকসহ মোট ৫৪ জন যাত্রী থাকবেন। সি-১৩০ বিশেষ বিমানটি সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে।
বর্তমানে নেপালে প্রায় ৪০০ বাংলাদেশি পর্যটক এবং প্রায় ৫০ জন বাংলাদেশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিওতে কর্মরত রয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, আটকে পড়া বাংলাদেশিরা ভারত হয়ে দেশে ফিরতে পারছেন না, কারণ তাদের কাছে ভারতীয় ভিসা নেই। তিনি জানান, “বাংলাদেশিরা নিরাপদে থাকবেন। দূতাবাস তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।”
নেপালে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশি নাগরিককে নিরাপদে হোটেল বা নিজ বাসায় অবস্থান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন ভ্রমণ পরিকল্পনা করার আগে সরকারের পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস