Image description

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে দীর্ঘ প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা ছিল শিবিরের। নির্বাচনের প্যানেল তৈরি ও প্রচারের ক্ষেত্রে সেই পরিকল্পনার ছাপ দেখা গেছে। ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে তারা জয় পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি ডাকসু জয়ে শিবিরের কৌশলকে প্রাধান্য দিয়ে বলেন, শিবির দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছিল।

রাশেদ খান বলেন, ‘২০১৯ সালে যে ডাকসু নির্বাচন হয় সেখানে আমি জিএস প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করি এবং ভিপি জিএস সহ আমরা ১১টি পদে জয়ী হই। যদিও শুধুমাত্র দুইটি পদে ঘোষণা করা হয় ভিপি এবং সমাজসেবা সম্পাদক পদে। তো যাই হোক যে কারণে এই নির্বাচন দেখার অভিজ্ঞতা আমার আছে। ১৯ সালের যে নির্বাচন সেটা অত্যন্ত জঘন্য নির্বাচন ছিল।

আর এইবারের যে নির্বাচন এই নির্বাচনে কিছু আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে কিন্তু ভোটে কারচুপি হয়নি।’

শিবিরের জয়ের জন্য কৌশল ছিল দীর্ঘদিনের। রাশেদ খান বলেন, ‘শিবিরের জয়ের জন্য কৌশল ছিল দীর্ঘদিনের। ফ্যাসিবাদের আমলে ছাত্রদল ক্যাম্পাসে মাঝে মাঝে ঢুকতে পেরেছে।

কিন্তু ছাত্রশিবির একদমই পারে নাই। বলা যায় এক প্রকার নিষিদ্ধ ছাত্রশিবিরের রাজনীতি ছিল। তো সেই জায়গায় তারা নানান ধরনের কৌশলে কখনো সাধারণ শিক্ষার্থী আবার কেউ কেউ ছাত্রলীগের পদে নানানভাবে বা সাংবাদিক সমিতিতে নানানভাবে তারা কিন্তু হলে ছিল। তো এই জায়গায় যে সুবিধা হয়েছে সেটি হলো ছাত্রশিবিরের সমর্থিত যে প্যানেল সেখানে যিনি আপনার ভিপি এবং জিএস হিসেবে ক্যান্ডিডেট তারা কিন্তু এই হলগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে এক ধরনের সম্পর্ক তাদের ছিল। ছাত্রদলের যারা ছিল তাদের জন্য এটা আসলে কাজ করে নাই।
যেমন আবিদ সাহেব তিনি হলে থাকতে পারেননি এবং হামিম বলেন বা তাদের এজিএস প্রার্থী মায়েদ, তারা কিন্তু হলে থাকতে পারেননি। তো এই জায়গায় তাদের গ্যাপ। তবে তারপরেও বলতে হয় যে অল্প সময়ের প্রস্তুতিতে ছাত্রদল এই নির্বাচনে ভালো করেছে।’

ডাকসু জয়ে শিবিরের ভিন্ন ভিন্ন কৌশল সম্পর্কে রাশেদ খান বলেন, ‘শিবিরের যারা ছিল তারা কিন্তু হলে থাকতে পেরেছে সেটা তাদের কৌশলের অংশ হোক যেভাবে হোক তারা কিন্তু হলে থাকতে পেরেছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে সম্পর্ক ধরে রাখতে পেরেছে। এটাকে আমি নেগেটিভভাবে দেখছি না। হয়তো তাদের কৌশল ছিল বা অনেক সময় এমন একটা ভয় ছিল এমন একটা আতঙ্ক ছিল এই পরিস্থিতিতে আপনি কি করবেন? এর ভিন্নতা তো নাই। এই কারণে তারা অনেকটা এগিয়ে গেছে। দ্বিতীয়ত ছাত্রদল যেটি করেছে শুধুমাত্র নিজেদেরকে নিয়ে প্যানেল দিয়েছে। কিন্তু ছাত্রশিবির আবার শুধুমাত্র নিজেদেরকে না, অনেককে নিয়ে প্যানেল দিয়েছে। এর মধ্যে অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী, অনেক আদিবাসী বলেন, ক্ষুদ্র গোষ্ঠী বলেন যেটাই বলেন না কেন, তাদেরকে এখানে জায়গা করে দিয়েছে। যারা প্রতিবন্ধী তাদেরকে জায়গা করে দিয়েছে। এইভাবে তারা একটা সম্মিলিত প্যানেল সৃষ্টি করেছে। ছাত্র শিবিরের আরেকটা কৌশল দেখেন, তারা আপনার ভিপি এবং জিএস প্রার্থী দুই পাশে একজন নারী প্রার্থীকে মাঝখানে বসিয়েছে। এর মাধ্যমে যেটি হয়েছে যে নারী শিক্ষার্থীরা ছাত্রশিবিরকে যেভাবে আগে দেখতো, ওই ধারণা কিন্তু বদলে গিয়েছে।’