Image description

জনমনে আতঙ্ক ও জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় অভিযোগে মামলায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার রাশেদ খানকে গোপালপুর ও নিয়াজ মোর্শেদ হিরুকে উপজেলা সদর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের জেলহাজতে পাঠিয়েছে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ হিরু (৩৪) ও উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য রাশেদ খান (২২)।

নিয়াজ মোর্শেদ হিরু উপজেলার বন্দল গ্রামের নাদের আলী মিয়া ও রাশেদ খান উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মৃত নজরুল ইসলাম খানের ছেলে। 

কোটালীপাড়া থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই উপজেলার ওয়াবদার হাটে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতারা জড়ো হয়ে মহাসড়কে গাছ ফেলে বিক্ষোভ করেন। এতে জনমনে আতঙ্ক ও জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ১৫৫ জনকে জ্ঞাত ও ১ হাজার ৫০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে কোটালীপাড়া থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করে। এ মামলায় ছাত্রলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ হিরো ও রাশেদ খানকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ছাত্রলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ হিরু ও রাশেদ খান গত ১৬ জুলাই মহাসড়কে গাছ ফেলে বিক্ষোভের ঘটনায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে মামলার অজ্ঞাত আসামি হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করেছি। এ পর্যন্ত এই মামলায় আমরা ৫৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছি। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’