Image description

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। রাজধানীর মতিঝিলে গতকাল পূবালী ব্যাংকের কর্মচারী সংঘের জাতীয় সম্মেলনে তথ্যটি জানান জিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা।

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এবং জাতীয় নির্বাচনের বহু আগেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। দেশে থেকে তিনি দলকে নেতৃত্ব দেবেন।’

তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে, সেই ষড়যন্ত্র কাজে দেবে না। ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

আওয়ামী লীগ আবারো সুযোগ খুঁজছে মন্তব্য করে ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘পেছনের দরজা দিয়ে এসে জনগণের অধিকার হরণ করা যায়। তাই সবাইকে চলমান ষড়যন্ত্র রুখতে চোখ-কান খোলা রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’

এক-এগারোর জরুরি সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়ে ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য তিনি সপরিবার লন্ডনে যান। পরে সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। প্রায় ১৭ বছর ধরে লন্ডনে আছেন। এর মধ্যে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেয়া হলে তারেক রহমান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর তারেক রহমান প্রায় সব মামলা থেকে অব্যাহতি পান। তার দেশে ফেরার ক্ষেত্রে সরকারের দিক থেকেও কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা।

এদিকে ধারণা করা হচ্ছে, তারেক রহমান দেশে ফেরার পর গুলশান-২ অ্যাভিনিউ রোডের ১৯৬ নম্বর বাড়িতে থাকবেন। ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তৎকালীন সরকার তার স্ত্রী খালেদা জিয়াকে বাড়িটি বরাদ্দ দেয়। সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার বাড়ির নামজারি সম্পন্ন করে এ-সংক্রান্ত কাগজপত্র খালেদা জিয়ার হাতে হস্তান্তরও করে। এর পাশের বাড়ি ফিরোজায় থাকেন খালেদা জিয়া।

জানা গেছে, গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাড়িটি ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের কাছে ভাড়া দেয়া ছিল। তবে বহুজাতিক ওই কোম্পানি এ বছরের শুরুর দিকে বাড়িটি ছেড়ে দিয়েছে। এখন নতুন করে বাড়ির ভেতরে-বাইরে রঙ করাসহ প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজ চলছে।