Image description

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদকে (চাকসু) কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। একদিকে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ছাত্রদল। অন্যদিকে চাকসু নির্বাচন বানচালের অভিযোগ এনে ঝটিকা মিছিল ও চাকসু ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ছাত্রশিবির।

বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর ১২টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ছাত্রদল।

এ বিষয়ে চবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, আমরা ভেবেছিলাম জুলাই আন্দোলনের পরে একটি বৈষম্যহীন বিশ্ববিদ্যালয় পাব। কিন্তু আমরা পেয়েছি নারী বিদ্বেষী প্রক্টর। আমরা এই নারী বিদ্বেষী প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করছি এবং ছাত্রদলের কটূক্তিকারী বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকে এ অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে অতি দ্রুততম সময়ে পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছি অথবা তাকে ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে আমাদের আন্দোলন আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।

একইদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় ছাত্রদলের বিরুদ্ধে চাকসু নির্বাচন বানচালের অভিযোগ এনে ঝটিকা মিছিল ও চাকসু ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ছাত্রশিবির।

চবি ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ পারভেজ বলেন, ছাত্রদল যে কার্যক্রমগুলো করে যাচ্ছে গত কিছুদিন ধরে আমরা সেটার বিরুদ্ধেই আজকে এই ঝটিকা মিছিল করেছি। তারা বিভিন্ন অযৌক্তিক ইস্যুকে সামনে এনে শিক্ষার্থীদের বহুল প্রত্যাশিত চাকসুকে বানচাল করার চেষ্টা করছে। চাকসু নিয়ে কেউ ষড়যন্ত্র করলে আমরা তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেব।

পদত্যাগ দাবির বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, চাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের একটা মাধ্যম। এই নির্বাচনের জন্য সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখার ছাত্র সংগঠনগুলোর দায়িত্ব।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রদল একটি প্রতিনিধিত্বমূলক সংগঠন। ছাত্রদলের উচিত ছাত্রদের কাছে কীভাবে জনপ্রিয় হওয়া যায় সেভাবে কাজ করা। দুজনকে গালি দেওয়ার মধ্য দিয়ে কখনোই জনপ্রিয়তা অর্জন করা যায় না। আমার এ কথায় তারা ক্ষুব্ধ হতে পারে কিন্তু আমি তাদের মঙ্গলের জন্যই বলব জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্য, অতিরিক্ত ভোট পাওয়ার জন্য ছাত্রদের অনুকূলে কাজ করতে হবে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২৫ আগস্ট) চাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেয় ছাত্রদল। এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে চাকসু নির্বাচনের কার্যক্রম থেকে তাদের অব্যাহতি চায় সংগঠনটি। এরপর গত মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ছাত্রদলের ওই স্মারকলিপির প্রতিবাদে পাল্টা প্রতিবাদলিপি দেয় শাখা ছাত্রশিবির। এ সময় ছাত্রদল চাকসু নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করে সংগঠনটি।