Image description

গণ-অভ্যুত্থানকে স্বতঃস্ফূর্ত গণ-অভ্যুত্থান না বলে বিপ্লব বলা জুলাইয়ের সাথে প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, মানুষের বিবেকের কারণে এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, স্বৈরতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে, অমানবিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে রাস্তায় এসেছে, একটা গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে। সেটাকে স্বতঃস্ফূর্ত একটা গণ-অভ্যুত্থান না বলে বিপ্লব কিংবা মেটিকুলাসলি ডিজাইন এই সমস্ত কথা বলা জুলাইয়ের সাথে প্রতারণা।

সম্প্রতি এক টেলিভিশনের টকশোতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, এই চেতনাটার গলাবাজি করলে এটার বাস্তবায়ন হবে না। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রথম দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরিতে কোটা বাতিল হয়। সেটা সরকার আবার আদালতের মাধ্যমে ফিরিয়ে নেয়। যার ফলে আন্দোলনটা ছিল ২০১৮ সালের ওই পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালেও আমরা কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম এইবারের আন্দোলনও তাই ছিল। কিন্তু গত ১৬ বছর একটা সিস্টেমেটিক নিপীড়ন এবং রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ভিন্ন মত দমন— ওই একই প্র্যাকটিস সরকার এই ছাত্র আন্দোলনের ওপরে করেছে। পাঁচ বছরের শিশু রিয়া গোপ কিংবা নাইমা এরকম আরো শিশুরা যখন বাড়ির ছাদ থেকে গুলিবিদ্ধ হচ্ছে কিংবা জানালার পাশে দাঁড়িয়ে নারীরা গুলিবিদ্ধ হচ্ছে এগুলো মানুষ মেনে নিতে পারেনি।

নুর বলেন, জুলাইয়ের আকাঙ্খা কি ছিল? এই যে রিপোর্ট দেওয়া হলো এবং রিপোর্টও পেলাম দুই ধরনের।

জাতিসংঘের রিপোর্টে দেখলাম ১৪০০-শোর মত ডেথ কেস, জুলাই ঘোষণাপত্রে দেখলাম প্রায় হাজার— একটা বড় ধরনের ডিফারেন্স। তাহলে এ সময়, এত প্রযুক্তি আমাদের হাতের মুঠোয়, লাইভ ঘটনাগুলো এখনো আছে অথচ আমরা একটা তালিকা তৈরি করতে পারলাম না। আমরা সবাই জুলাইয়ের চেতনার বাস্তবায়ন করতে চাই। আওয়ামী লীগ আসলে যেমন তাদের কাছে আগস্ট শোকের মাস। আমরাও জুলাইয়ের জাগরণের জন্য বিশাল কর্মসূচি মাসব্যাপী আয়োজন করলাম।
অথচ জুলাই স্পিডটা কি? ১১০ জনের মত শিশু মারা গেল। এই শিশুরা কোন রাজনৈতিক দলের কর্মী ছিল? 

নুর আরো বলেন, যাত্রাবাড়ি, উত্তরা, মিরপুর, রামপুরা এগুলো আন্দোলনের হটস্পট ছিল। সেখানে যেভাবে আম জনতা নারী পুরুষ নির্বিশেষে একটা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল তাদের কী আকাঙ্ক্ষাটা ছিল? তারা ১৬ বছর অত্যাচার নির্যাতন দেখেছে। তারা চেয়েছিল ফ্যাসিবাদীর ব্যবস্থার একটা পরিবর্তন হোক। তারা প্রত্যাশা করেছিল এই ফ্যাসিবাদ গেলে অন্তত যারা আসবে তারা একটু গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী হবে।