
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) হল থেকে ভোটকেন্দ্রের দূরত্ব বিবেচনায় শামসুন্নাহার হলের ভোটকেন্দ্র পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউটে, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের ভোটকেন্দ্র সমাজকল্যাণ গবেষণা ইনস্টিটিউটে এবং হলপাড়ার চারটি হলের ভোটকেন্দ্র ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে (এফবিএস) নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেলে ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমার।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
উমামা ফাতেমা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে হল থেকে ভোটকেন্দ্র যাওয়ার জন্য দরকার হলে তারা ভোটগ্ৰহণের দিন বাসের ট্রিপগুলো বাড়াবে। সেই সঙ্গে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল ও কুয়েত মৈত্রী হলের মধ্যে যে নীলক্ষেত মোড়টা রয়েছে, সেখানে নিরাপত্তা বাড়াবে। কিন্তু আমরা দেখেছি সেই মোড়ে সব সময় জ্যাম লেগেই থাকে। তাই শিক্ষার্থীদের ভোট প্রদানের সুবিধার্থে আমার ভোটকেন্দ্রগুলো পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছি। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল ও কুয়েত মৈত্রী হলের ভোটকেন্দ্রে সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে সামসুন্নাহার হলের ভোটকেন্দ্র পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউটে স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ‘মেয়েদের হলগুলোর পাশাপাশি ছেলেদের হলের ক্ষেত্রেও ভোটকেন্দ্রের দূরত্ব রয়ে গেছে। এক্ষেত্রে হলপাড়ার হলগুলোকে বিজনেস ফ্যাকাল্টিতে ভোটকেন্দ্র করার দাবি জানাচ্ছি। এতে বেশি মাত্রায় ভোট কাস্টিং হবে।’
উমামা ফাতেমা আরও বলেন, ‘২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে লক্ষ করেছি, ডাকসু নিয়ে বিভিন্ন তথ্যগুলো প্রশাসন সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করে না। হল কার্ড রিনিউ না করলে কেউ ভোট করতে পারে না। তখন শিক্ষার্থীদের ভোট প্রদানের সদিচ্ছা থাকলেও তারা ভোট দিতে পারে না।তাই সেন্ট্রাল আইডি কার্ড দিয়ে ভোট নেওয়ার আহ্বান করছি। আমাদের মূল উদ্দেশ্য ভোটারদের ভোগান্তি কমানো।’
মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক পদে প্রার্থী নুসরাত জাহান নিসু বলেন, ‘কুয়েত মৈত্রী হল থেকে শুরু করে অন্যান্য হলের ক্ষেত্রে হলের কাছাকাছি ভোটকেন্দ্র নেওয়া দাবি জানাচ্ছি। তা ছাড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশাসনকে নতুন করে ভাবতে হবে। বাস ট্রিপগুলো বাড়াতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে নারীরা সাইবার বুলিংয়ের মুখোমুখি হচ্ছে । কিন্তু প্রশাসনের এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা দেখছি না। এ জন্য প্রশাসনকে অতি দ্রুত সাইবার সেল গঠন করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে।’