
জুলাইয়ের উৎসর্গিত জীবন-রক্তের দাবি পূরণে পিআর পদ্ধতিতেই আগামী নির্বাচন হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। পিআরের পক্ষে জনমত তৈরিতে পক্ষকালব্যাপী কর্মসূচিও ঘোষণা করেছেন তিনি।
দলটির নিয়মিত এক বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতা যে জীবন ও রক্ত উৎসর্গ করেছে তা কেবলই হাসিনার উৎখাতের জন্য নয় বরং বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের পুনরাবৃত্তি রোধ করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা থেকেই জনতা রাজপথে এসেছিল। কিন্তু অবস্থার প্রেক্ষিতে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ যেন সেই পুরোনো তিমিরেই ফিরে যাচ্ছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তা হতে দিতে পারে না। তাই আমরা স্বৈরতন্ত্র রোধের পরীক্ষিত ও কার্যকর পন্থা হিসেবে পিআর পদ্ধতিতে আগামী নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে রাজপথে পুনরায় অবস্থান গ্রহণ করবো।
চরমোনাই পীর বলেন, তরুণ শিক্ষার্থীদের রক্তকে কোনো রাজনৈতিক দলের লোভের কারণে ব্যর্থ হতে দেওয়া যায় না। তারই অংশ হিসেবে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের সব জেলায় গণসমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে এবং ঢাকার প্রতি থানায় থানায় গণসমাবেশ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে; ইনশাআল্লাহ। একই সঙ্গে পিআরের পক্ষে জনমতকে আরও জোড়ালো করতে প্রচার সামগ্রী বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আদায়ে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা নির্বাচন চাই কিন্তু নির্বাচনের নামে স্বৈরতন্ত্র সহায়ক পুরোনো বন্দোবস্ত ফিরে আসুক তা চাই না। সেজন্য রাজপথের পাশাপাশি সব ধরনের সংগ্রাম চালিয়ে যাবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ক্রমান্বয়ে আরো কঠোর কর্মসূচির দিকে অগ্রসর হতেও পিছপা হবে না দলটি। তাই সরকারকে আহ্বান জানাবো, নিম্নকক্ষে পিআর পদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্য কমিশনে এজেন্ডা তুলুন এবং গণভোট দিন। যারা পিআরের বিরোধিতা করছেন তারা তো মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে। তাই জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে দিন। কোনো দল বিশেষের কাছে নতিস্বীকার করে দেশকে অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেবেন না।
বুধবার দলের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পুরানা পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক বৈঠকে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা মুসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, যুগ্ম-মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, কে এম আতিকুর রহমান, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।