
ভারত আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশকে বন্ধু মনে করে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, ভারত হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে তাদের বন্ধু মনে করে। অথচ হাসিনা একজন স্বৈরশাসক, গণহত্যাকারী। তার বিচার বাংলাদেশে চলছে এবং হবে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ আয়োজিত ‘ভারত কি বাংলাদেশকে বিপদে ফেলতে চায়?’ শীর্ষক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া অর্থ জনগণের হত্যাকারীকে রক্ষা করা। হাসিনা গণতন্ত্র হত্যা করেছে, জনগণকে হত্যা করেছে। তাকে অবিলম্বে দেশে ফেরত পাঠিয়ে বিচারকার্য সম্পন্ন করতে হবে।’
ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আরও বলেন, ‘ভারত আমাদের পানিতে মারতে চায়, ভাতে মারতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ কখনো বশ্যতা স্বীকার করেনি— ব্রিটিশ, পাকিস্তানি কিংবা স্বৈরশাসক কারও কাছেই না। এ দেশের মানুষ সাগরসম রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ভারতের পক্ষ থেকে শত্রুতামূলক আচরণ দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। প্রয়োজনের সময় পানি দেয় না, আবার অপ্রয়োজনের সময় তিস্তা ব্যারেজ খুলে দেয়। চারপাশের প্রতিটি সীমান্তে বাণিজ্য বন্ধ করে রেখেছে, যাতে বাংলাদেশের মানুষ ব্যবসা না করতে পারে।’
বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা উল্লেখ করে দুদু বলেন, ‘হাজার বছর ধরে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান মিলেমিশে এই দেশে বসবাস করছে। কেউ কারও প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করে না। বাংলাদেশ এমনই একটি দেশ।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন। এসময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসির মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আরিফা সুলতানা রুমাসহ আরও অনেকে।