Image description

বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে প্রশাসনের দেয়া নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রবেশ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মাহমুদুল হাসান। প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও ক্যাম্পাসে প্রায় আনাগোনা দেখা যাচ্ছে তার ও তার কর্মীদের আসা যাওয়া। নিষিদ্ধ ছাত্রদল নেতা মো. মাহমুদুল হাসান রসায়ন বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী জানান, ‌‌‘তার হামলার ঘটনার পর প্রশাসন তাকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তারপরও সে কিভাবে ক্যাম্পাসে  প্রবেশ করে। যদি এমন হয় তাহলে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত আমরা।’

এবিষয়ে মাহমুদুল হাসানের মতামত জানতে একাধিকবার মুঠোফোন নাম্বারে ও হোয়াটসঅ্যাপে কল করে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

তবে, এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল জানান, ‘আজ আমাদের নেত্রী বেগম জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে মসজিদে দোয়া মাহফিল হয়েছে। সেখানে সে এসেছিলো। দোয়া মাহফিল এজ ইউজুয়াল বিষয়। এখানে সে আসতেই পারে। এটা তো মসজিদে হয়েছে। মসজিদ তো সবার জন্য উন্মুক্ত।’

এর আগে, গত ১৬ জুলাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দুই শিক্ষক ও কয়েকজন শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় জবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহমুদুলকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, গত ১০ জুলাই বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের নিচে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রফিক বিন সাদেক রেসাদকে মারধর করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী। তাঁরা রফিকের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলেন।

তবে, সব নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেখা যায় তাকে। ক্যাফেটেরিয়ায় বসে অনুসারীদের নিয়ে আড্ডা দিতে এবং মূল ফটকেসহ বিভিন্ন জায়গায় নেতাকর্মী নিয়ে জটলা সৃষ্টি করতে দেখা যায় তাকে।