
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে হতে পারে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেই নির্বাচন ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। এরই মধ্যে প্রাথমিকভাবে দেশের প্রায় সব আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াত। প্রার্থীদের মধ্যে অন্তত ৩৯ জনই আইনজীবী। তারা সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের বিভিন্ন আদালতে কর্মরত।
দলের নেতারা বলছেন, নির্বাচনের তোড়জোড় কিংবা আগে সংস্কার পরে নির্বাচন- আলোচনায় যাই আসুক না কেন, নির্বাচনী রোডম্যাপ কষেই সামনে এগিয়ে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী।
জামায়াতের দলীয় সূত্র বলছে, নির্বাচন সামনে রেখে দুই স্তরের প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। প্রাথমিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দেশের প্রায় সবগুলো আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এটা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা নয়। এটা দলের প্রাথমিক বাছাই। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে কেন্দ্রীয়ভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
দলটির বেশ কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, প্রার্থীরা বিভিন্ন কৌশলে তাদের নির্বাচনী এলাকায় সভা-সমাবেশের পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। অবশ্য, নির্বাচনের আগে ইসলামী দলগুলোর ঐক্য কিংবা জোটবদ্ধ নির্বাচন হলে পরিস্থিতি কিছুটা বদলাবে। প্রাথমিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর স্থানীয় পর্যায়ে জামায়াত ও ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা প্রার্থীদের ছবি দিয়ে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো থেকে জানা গেছে, নির্বাচন সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও নির্বাচনী বোর্ড পরিচালনার সভাপতি অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল সারাদেশে বিভিন্ন নির্বাচনী আসনে গিয়ে দলের রুকনদের মতামত নিয়ে প্রার্থী নির্বাচন করেছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দৌড়ে দলটির বর্ষীয়ান নেতাদের তুলনায় এবার বেশি আলোচনায় রয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতারা। তারা দীর্ঘ সময় ছাত্রশিবিরের সঙ্গে রাজনীতির পাঠ চুকিয়ে এখন জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন ইউনিটে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। দলের সবুজ সংকেত পেয়েই অর্ধশতাধিক সাবেক ছাত্রনেতা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন। এদের মধ্যে পেশাজীবীরাও রয়েছেন।
জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়নে যেসব আইনজীবী সংসদ সদস্য হতে চান বিভাগ অনুযায়ী তাদের নাম দেওয়া হলো:
ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম, হেলাল উদ্দিন, আতিকুর রহমান ও শেখ মোহাম্মদ রোকন রেজা (বাঁ থেকে)। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা বিভাগ
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল এবং যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে জামায়াতে ইসলামীর মুখপাত্র ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন বলে প্রচার-প্রচারণায় জানা গেছে।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন ঢাকা-৮, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) সাবেক ভিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার ঢাকা-১০ এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান ঢাকা-১১ আসনে গণসংযোগ করছেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনা গঠিত ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রথম কেন্দ্রীয় সভাপতি মীর কাসেম আলীর ছেলে মীর আহমদ বিন কাসেম ওরফে ব্যারিস্টার আরমানকে ঢাকা-১৪ আসনে প্রার্থী করা হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম রাজবাড়ী-১, অ্যাডভোকেট আজমল হোসাইন গোপালগঞ্জ-২ ও অ্যাডভোকেট মো. রফিকুল ইসলাম মাদারীপুর-৩ আসনে জামায়াতের দাঁড়িপাল্লা প্রতীক পেতে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ রোকন রেজা কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে গণসংযোগ করছেন।
অ্যাডভোকেট ময়নুল আলম, ফিরোজ হায়দার লাভলু, অ্যাডভোকেট ইয়াসিন আলী সরকার ও ব্যারিস্টার মাহবুব আলম সালেহী (বাঁ থেকে)। ছবি: সংগৃহীত
রংপুর বিভাগ
দিনাজপুর-৩ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে অ্যাডভোকেট ময়নুল আলমের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি এ আসনে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন। এরইমধ্যে তিনি গ্রাম থেকে গ্রাম পাড়া-মহল্লা চষে বেড়াচ্ছেন। জানান দিচ্ছেন সংসদ নির্বাচনে তার প্রার্থী হওয়ার কথা।
অ্যাডভোকেট ফিরোজ হায়দার লাভলু লালমনিরহাট-২, অ্যাডভোকেট ইয়াসিন আলী সরকার কুড়িগ্রাম-২ এবং শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব আলম সালেহী কুড়িগ্রাম-৩ আসনে প্রার্থী হবেন বলে জানা গেছে।
ব্যারিস্টার মাহবুব আলম সালেহী জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি মনে করি স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও সাম্য মানবিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার যে প্রতিশ্রুতি ছিল তা পূরণ হয়নি। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান সেই অসমাপ্ত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের সুযোগ করে দিয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমার আন্তর্জাতিক অঙ্গন এবং বাংলাদেশে যে অভিজ্ঞতা রয়েছে এসব অভিজ্ঞতা সামনে রেখে আমি সবার জন্য শিক্ষা, কর্মসংস্থান, বাসস্থান, স্বাস্থ্য, মানবিক ও আধুনিক আত্মনির্ভরশীল উলিপুর গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখি। আমার বিশ্বাস এ আসনটি জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে যাবে ইনশাআল্লাহ।’
ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন (বাঁয়ে) ও অ্যাডভোকেট আ স ম সায়েম। ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহী বিভাগ
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনা গঠিত ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন পাবনা-১ আসনে দাঁড়িপাল্লার প্রার্থী। কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে এরইমধ্যে কয়েকটি বড় সভা-সমাবেশও করেছেন তিনি। এছাড়া ক্রমাগত জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। সামাজিক ও অন্যান্য কাজে তিনি নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে কথা হয় ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেনের সঙ্গে। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। কিন্তু দেশে এখনো ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পরিবর্তন ও কাঠামোগত সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। কারণ ভোটকেন্দ্র দখল, ভোট কাটাসহ জনগণ এখনো নানারকম ভীতির মধ্যে রয়েছে। এক্ষেত্রে আগে এ জায়গা থেকে জনগণকে শঙ্কামুক্ত করা উচিত।
এছাড়া অ্যাডভোকেট আ স ম সায়েম নওগাঁ-৫ আসনে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ, মাসুদ পারভেজ ও মো. রুহুল আমিন (বাঁ থেকে)। ছবি: সংগৃহীত
খুলনা বিভাগ
খুলনা মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল খুলনা-২, অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ বাগেরহাট-৩ ও অ্যাডভোকেট গাজী এনামুল হক যশোর-৫ আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে নির্বাচন করতে চান।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয় রয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে নির্বাচন করতে চান জেলা জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য অ্যাডভোকেট মো. রুহুল আমিন।
বরিশাল বিভাগ
অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান পটুয়াখালী-১ ও অ্যাডভোকেট মোয়াযযম হোসাইন হেলাল বরিশাল-৫ আসনে জামায়াতের হয়ে নির্বাচনে আগ্রহী।
অ্যাডভোকেট ইয়াছিন খান, মুহাম্মদ শামসউদদীন, আবদুর রব ও জিল্লুর রহমান (বাঁ থেকে)। ছবি: সংগৃহীত
সিলেট বিভাগ
সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ও শিবিরের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনিরের সুনামগঞ্জ-২ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। তবে বর্তমানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে তার কোনো পদ নেই বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন তিনি।
অ্যাডভোকেট ইয়াছিন খান সুনামগঞ্জ-৩, সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ও সিনিয়র আইনজীবী মুহাম্মদ শামসউদদীন সুনামগঞ্জ-৪, অ্যাডভোকেট আবদুর রব মৌলভীবাজার-৪ ও অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান হবিগঞ্জ-২ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে চান।
ময়মনসিংহ বিভাগ
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক প্রচার সম্পাদক ও শিবিরের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ ময়মনসিংহ-৫, অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন ময়মনসিংহ-৯ এবং জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী, শিবিরের কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল আউয়াল জামালপুর-৪ আসন থেকে নির্বাচন করতে চান।
অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন (বাঁয়ে) ও আব্দুল আউয়াল। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম বিভাগ
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি ও ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের নেতা অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত রয়েছেন তিনি।
শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ মুহাম্মদ মাহফুজুল হক নোয়াখালী-৬, শিবিরের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার মুস্তফা শাকেরুল্লাহ কুমিল্লা-৭, অ্যাডভোকেট আব্দুল বাতেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫, অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া চাঁদপুর-৩ ও অ্যাডভোকেট শাহজালাল চৌধুরী কক্সবাজার-৪ আসনে নির্বাচন করবেন।
খাগড়াছড়ি ২৯৮ নম্বর সংসদীয় আসনে অ্যাডভোকেট এয়াকুব আলী চৌধুরী, রাঙ্গামাটি ২৯৯ নম্বর আসনে অ্যাডভোকেট মোখতার আহমেদ ও বান্দরবান ৩০০ নম্বর সংসদীয় আসনে অ্যাডভোকেট আবুল কালামকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।
ব্যারিস্টার মুস্তফা শাকেরুল্লাহ, অ্যাডভোকেট শাহ মুহাম্মদ মাহফুজুল হক, এয়াকুব আলী চৌধুরী, মোখতার আহমেদ ও আবুল কালাম (ওপরে বাঁ থেকে)। ছবি: সংগৃহীত
জানা গেছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে জামায়াতের প্রার্থীদের মধ্যে আইনজীবী ছাড়াও রয়েছেন মাওলানা ও মুফতি, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী ও উচ্চতর ডিগ্রিধারী অনেকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জামায়াতের কেন্দ্রীয় এক নেতা বলেন, যে তালিকার কথা বলা হচ্ছে সেটি এক ধরনের প্রাথমিক তালিকা। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলে ওই তালিকা আরও সংশোধন হতে পারে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জামায়াতের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা সম্পর্কে দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সামনে নির্বাচনে যাওয়ার পথ উন্মুক্ত। একটি দল এককভাবে, জোটগতভাবে অথবা সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। এই তিন অপশন সামনে রেখেই আমরা এগোচ্ছি। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলে দল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’