Image description

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিনের বিরুদ্ধে নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগকে মিথ্যা দাবি করে রোববার (১০ আগস্ট) রাতে এক বিবৃতি দেন অভিযুক্ত সেই ছাত্রদল নেতা। জবি ছাত্রদলের প্যাডে সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব অভিযোগকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর হিসেবে ঘোষণা করেছেন। 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী বিভ্রান্তিকর তথ্য এবং অপপ্রচার চালিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করছে। বিশ্ববিদ্যালয় একটি মুক্তচিন্তার ক্ষেত্র হওয়ায় এখানে ব্যক্তিগত আক্রমণ বা বিভাজনের চেষ্টা গ্রহণযোগ্য নয়।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, মানববন্ধনে এক বক্তা জানিয়েছিলেন, সেখানে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্থার সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। তবে ছাত্রদল দাবি করে, ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ পরিচয় ব্যবহার করে ওই সংগঠনের সদস্যরা তাদের পরিচয় গোপন রেখে ছাত্রদলের বিপক্ষে পরিকল্পিত প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে।

শামসুল আরেফিন দাবি করেন, ধর্ম, ইসলামী বিধান ও নারীদের প্রতি তিনি সবসময় শ্রদ্ধাশীল। তার ব্যক্তিগত মন্তব্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সমালোচনাকে অন্য খাতে নিয়ে যাওয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং পরিকল্পিত। তিনি এসব অভিযোগকে একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠীর প্রচারণা বলে দাবি করেছেন।

প্রসঙ্গত, এর আগে গতকাল রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক এক পোস্টে জবি ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন ঢাবি উপাচার্যের সাথে ইসলামী ছাত্রী সংস্থার ঢাবি শাখার সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাতের ছবি যুক্ত করে ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট করেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি ছাত্রী সংস্থার ফুলে শুভেচ্ছা বিনিময়ের ছবির ক্যাপশনে লিখেন, ‘সেরের জন্য কয়টা তালি’। সেই পোস্টে জিএমএস আহমেদ রেজা নামে একটি আইডি থেকে কমেন্ট করা হয়, ‘ভাই, ছবিতে সমস্যাটা কোথায়? রাজনীতি করবেন, এতটুকু সেন্স রাখবেন না, কোথায় সমালোচনা বা ট্রল করতে হয়, আর কোথায় না?’

এ কমেন্টের রিপ্লাইতে শামসুল আরেফিন লিখেন, ‘এই.... টাই তো সেরের এবং সেরের ছাত্রের কাছে শিখতে চাই। সরি সেন্স।’ ছাত্রদল নেতার এমন মন্তব্য দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।