Image description
 

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বগুড়া জেলা বিএনপির উপদেষ্টা কেএম মাহবুবার রহমান হারেজের বিরুদ্ধে শেরপুরে অপরাজনীতির অভিযোগ উঠেছে। তিনি বগুড়ার শেরপুরে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন।

 

হারেজ এখন মির্জাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপির গাড়ি ভাঙচুর মামলার আসামি রাশেদুল ইসলামের মোটরসাইকেলে বসে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। এ ঘটনায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তারা এ ব্যাপারে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

তবে হারেজ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ দৃঢ়তার সঙ্গে অস্বীকার করেছেন।

 

অভিযোগে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিকালে শেরপুর সদরে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বগুড়া জেলা বিএনপির উপদেষ্টা কেএম মাহবুবার রহমান হারেজের নেতৃত্বে মোটরসাইকেল র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালির সামনে মোটরসাইকেলে ছিলেন শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও গত ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের গাড়িবহরে হামলা মামলার আসামি রাশেদুল ইসলাম। তার মোটরসাইকেলে বসে কেএম মাহবুবার রহমান হারেজ ধুনটের দিকে যান।

 

এদিকে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা কেএম মাহবুবার রহমান হারেজ নিষিদ্ধ যুবলীগ নেতা ও নিজ দলীয় নেতার গাড়িবহরে হামলা মামলার আসামি রাশেদুল ইসলামের মোটরসাইকেলে উঠার ঘটনা জানাজানি হলে নেতাকর্মীদের মাঝে প্রচণ্ড ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়। ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

 

বগুড়ার শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু জানান, কেএম মাহবুবার রহমান হারেজ কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা হলেও এখানে তার কোনো অবস্থান নেই। তিনি শেরপুর ও ধুনট উপজেলায় রাজনীতির নামে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন করছেন। গত ৫ আগস্ট তিনি যুবলীগ নেতা রাশেদুল ইসলামের মোটরসাইকেলের পেছনে বসে বিজয় র‌্যালিতে অংশ নিয়েছেন। এই রাশেদুল সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের গাড়িবহরে হামলা মামলার অন্যতম আসামি। বিষয়টি জানার পর দ্রুত তাকে গ্রেফতার করতে শেরপুর থানার ওসিকে বলা হয়েছে।

 

যুবলীগ নেতা নাশকতার মামলার আসামি প্রকাশ্যে র‌্যালিতে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর থানার ওসি কেএম মঈনুদ্দীন ফোন না ধরায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা কেএম মাহবুবার রহমান হারেজ জানান, মোটরসাইকেল র‌্যালিতে যুবলীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম থাকার বিষয়টি তিনি নিশ্চিত নন। এছাড়া তার পক্ষে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতাকে চেনা সম্ভব নয়। র‌্যালি চলাকালে তিনি নানান কারণে ৩-৪ জনের মোটরসাইকেলে উঠেছেন। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৫ আসনে তার অবস্থান সুদৃঢ়। এ কারণে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে ও স্থানীয়ভাবে হেয় করতে মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র করছেন।

 

মির্জাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নাশকতার মামলার আসামি রাশেদুল ইসলাম ফোন বন্ধ রেখে এলাকায় না থাকায় এ ব্যাপারে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।