
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি পালনের দিনে হঠাৎ কক্সবাজারে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ পাঁচ নেতার সফর নিয়ে আলোচনা চলছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার কিছু পর বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে কক্সবাজার পৌঁছান এনসিপি’র নেতারা। পাঁচ নেতা হলেন- দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ।
বিমানবন্দর থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে সরাসরি কক্সবাজারের ইনানীস্থ হোটেল সি-পার্লে পৌঁছান তারা। তখনই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে ‘গোপন বৈঠক’ করছেন এনসিপি নেতারা। এই খবরে হোটেলের সামনে অবস্থান নেন বিএনপি’র স্থানীয় নেতারা। যদিও পরে পরিষ্কার হয় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে নেই। এ ছাড়া এনসিপি নেতারা জানিয়েছেন, দীর্ঘ সফরের ক্লান্তি কাটাতে তারা সেখানে যান। তবে অনেকে প্রশ্ন করেছেন জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া নেতারা বিজয়ের বার্ষিকীর দিনের এই সফরের অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল কিনা।
কারও সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি অস্বীকার করে এনসিপি’র মুখ্য সংগঠক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানিয়েছেন, কারও সঙ্গে দেখা করতে নয়, হুট করেই আমরা ঘুরতে এসেছি। পদযাত্রা কর্মসূচির ধকল সামলাতেই সাগরপাড়ে একটু বিশ্রাম নিতে এসেছি। অথচ এখন দেখছি, এখানে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে গুজব রটেছে। তিনি এটিকে ‘মিডিয়া প্রোপাগান্ডা’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, পিটার হাসের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা থাকলে আমরা ঢাকাতেই করতাম, কক্সবাজারে না। সি-পার্লের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জানান, পিটার হাস্ বা এ রকম কেউ তাদের হোটেলে আসেননি।
এদিকে, একটি সূত্র দাবি করেছে, পিটার হাসের সঙ্গে নয়, বরং অন্য একটি দেশের একজন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ‘দলীয় বৈঠক’ করেছে এনসিপি। তবে এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কক্সবাজার জেলা বিএনপি’র সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান বর্ষপূর্তির বিশেষ দিনে হঠাৎ করে এনসিপি’র শীর্ষ পাঁচ নেতার কক্সবাজার আগমন এবং শহর থেকে ১৫-২০ কিলোমিটার দূরের পাঁচ তারকা হোটেলে অবস্থানের ঘটনা সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। মানুষের মধ্যে নানা কৌতূহলের জন্ম দিচ্ছে।