
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ শেষে দেয়া এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানান তিনি।
এই ঘোষণাপত্রে জুলাই বিপ্লবের প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষার কোনো প্রতিফলন হয়নি জানিয়ে জামায়াত নেতা বলেন, ঘোষণাপত্র সংবিধানে স্থান দেয়ার কথা ছিল। সংবিধানে প্রিয়াম্বেলে চেয়েছিলাম, সেটা হয়নি। এছাড়াও ৫ আগস্ট থেকে এই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন করবে বলে আমরা শুনেছিলাম, কিন্তু এটা কখন থেকে বাস্তবায়ন হবে তার কোনো নির্দেশিকা নেই।
তিনি আরও বলেন, ঘোষণাপত্রে আন্দোলনে শহীদ পরিবার কিংবা আহত যারা আছে তাদের বিষয়ে কোনো স্পষ্ট নির্দেশিকা নেই। যারা শহিদ হয়েছে বা আহত হয়েছে তাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির কথা ছিল, তাদের ভাতা দেয়ার কথা ছিল, এসব বিষয়ে ঘোষণাপত্রে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই। এটা এক ধরনের রচনার মতো হয়ে গেছে। এসব কারণেই আমরা হতাশ, পুরো জাতি হতাশ।
এর আগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতির ঘোষণা দেওয়া হয় জুলাই ঘোষণাপত্রে।
ঘোষণাপত্রে বলা হয়, পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এ ঘোষণাপত্র যুক্ত হবে। ঘোষণাপত্রে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সকল শহীদকে জাতীয় বীর হিসেবে উল্লেখ করা হবে।
একই সঙ্গে শহীদদের পরিবার, আহত যোদ্ধা এবং আন্দোলনকারী ছাত্রজনতাকে প্রয়োজনীয় সকল আইনি সুরক্ষা দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করা হয় ঘোষণাপত্রে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে সব রাজনৈতিক দলের উপস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।