
গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে রাজধানীর শাহবাগে চলছে ছাত্রদলের সমাবেশ। সমাবেশে সারাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জ থেকেও জড়ো হয়েছেন শতশত নেতাকর্মী। তাদের মধ্য থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এক ব্যক্তির ভিডিও।
ভিডিওতে দেখা যায়, আপনি কি ছাত্রদল করেন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যা আমি ছাত্রদল করি। কোন দায়িত্বে রয়েছেন? আমি বর্তমানে ছাত্রদলের সেক্রেটারি। কোন জেলার? সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনদের প্রশ্ন তিনি কি এই বয়সে এসেও ছাত্রদল করেন?
এদিকে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় খবর নিয়ে জানা যায়, তার বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের গোলকপুর গ্রামে। তার ডাক নাম মন্টু। বয়স তার ৪৫ । তিনি রাজনীতি করে কিনা জানেন না কেউ। তবে কেউ কেউ বলছেন তিনি যুবদলের কর্মী।
ধর্মপাশা উপজেলায় ছাত্রদলের আহবায়ক ওবায়দুর মজুমদার জানান, আমি ঢাকা শাহবাগে ছাত্রদলের সমাবেশে আছি। ছাত্রদলের দাবি করে একটি ভিডিও আমার চোখে পড়েছে। শুনেছি তার বাড়ি ধর্মপাশা উপজেলার গোলকপুর গ্রামে। ব্যক্তিগতভাবে আমি তাকে চিনি না। কোনোদিন ছাত্রদলের কোনো মিটিংয়েও তাকে দেখিনি। তিনি কি করেন তাও জানি না। এ বয়সে ছাত্রদল করার প্রশ্নই উঠে না। হয়তো তাকে কেউ শিখিয়ে দিয়েছে বলার জন্য। আমরা তার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।
ধর্মপাশা উপজেলার ছাত্রদলের সদস্য সচিব সারোয়ার হোসেন বলেন, আমরা ঢাকা সমাবেশে আছি। কথা বলা সম্ভব না। তবে এটকু জানি যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সে ছাত্রদলের কেউ না। ভুয়া সেক্রেটারি। আমরা কেউ তাকে চিনি না। ছাত্রদলকে কলুষিত করতে হয়তো এমনটি বলেছেন। সমাবেশ শেষে বাড়ি ফিরে তার খোঁজ নেবো। এবং কেন এমনটি বলেছেন তা জানতে চাইবো।
ধর্মপাশা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শওকত আলী বেপারি জানান, ঢাকার শাহবাগের একটি ভিডিও পুরোটা দেখেছি। সে ছাত্রদলের সেক্রেটারি দাবি করে বক্তব্য দিয়েছে। নেটিজেনরা নেতিবাচক মন্তব্য করছেন। তার বয়সও ৪৫ হবে। এ বয়সে ছাত্রদলের ধর্মপাশায় কেউ নেই। তাকে আমি চিনি না।
তিনি যুবদলের কর্মী কিনা জানতে চাইলে বলেন, আমি ধর্মপাশা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক। তিনি যুবদলের কর্মী হলে আমি চিনতাম। তিনি যুবদলেরও কেউ না।