Image description

যশোরের মণিরামপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে চার যুবককে আটক করে পুলিশ। শুক্রবার (১ আগস্ট) আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। 

এদিকে গ্রেফতার হওয়া যুবকদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশার। উপজেলা বিএনপি সভাপতি বলছেন, তারা যুবদলের কর্মী। তবে জেলা যুবদলের নেতারা বলছেন, তারা তাদের কর্মী নয়।

গ্রেফতার হওয়া চার যুবককে যুবদলের কর্মী পরিচয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এর প্রতিবাদ জানিয়েছে জেলা যুবদল।

বিষয়টি নিয়ে শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে যশোর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনসারুল হক রানা। তিনি বলেন, সম্প্রতি মণিরামপুরে কিছু যুবক আটক হয়েছে। তাদেরকে কেউ কেউ যুবদল কর্মী হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা করছে। প্রকৃতপক্ষে তারা যুবদলের কেউ না। তাদের কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুবদলের সম্পৃক্ততা নেই। তারা কোন দলীয় কর্মী নন। তাই তাদেরকে যুবদলের কর্মী হিসেবে অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাই। একইসঙ্গে যারা এ ধরণের অসত্য তথ্য গণমাধ্যমে সরবরাহ করেছে, তাদের ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদ ইকবাল হোসেনের বক্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক এম তমাল আহমেদ বলেন, ‘যুবদল সম্পর্কে কোনো বিষয়ে জানার থাকলে ওই উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক কিংবা জেলা যুবদলের শীর্ষ নেতারা নিশ্চিত করবেন। বিএনপির সভাপতি কিভাবে জানবেন কারা যুবদল করেন?’

এদিকে, শুক্রবার রাতে জেলা পুলিশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মনিরামপুর পৌর শহরে গরুর হাটখোলা মোড়ে রজনী নিবাস হোটেলের চতুর্থ তলার ৪০৮ নাম্বার কক্ষের ভেতর থেকে চারজনকে আটক করা হয়। তারা যশোর-চুকনগরগামী মহাসড়কে বিভিন্ন যানবাহনে ডাকাতি করার পরামর্শ ও প্রস্তুতি চলছিল।  এ সময় একটি খেলনা পিস্তল ও একটি সুইচ গিয়ার চাকু জব্দ করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, মনিরামপুর পৌরসভার গাংড়া এলাকার আলম খান, দূর্গাপুরের টুটুল, উপজেলার কদমবাড়িয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও খেদাপাড়ার আবু সিনহা। পরে একটি মামলা করে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়।

শুক্রবার রাতে মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আটক চারজন যুবদলের সক্রিয় কর্মী। ব্যক্তির দায় দল নিবে না।  তাদের দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকেও সহযোগিতা করা হবে।’

 

মনিরামপুর থানার ওসি বাবলুর রহমান খান বলেন, ডাকাতির প্রস্তুতিকালে চারজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অভিযানের সময় একজন কৌশলে পালিয়ে যায়।  ওই মামলায় পাঁচ জনকে আসামি করা হয়েছে।