
গত ১৭ই জুন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ডক্টর আলী রীয়াজ জানান, আগামী সংসদ নির্বাচনে ১০০টি নারী সংরক্ষিত আসনের ব্যাপারে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত। তবে আসনগুলোতে সরাসরি নির্বাচন হবে নাকি মনোনয়নভিত্তিক, তা নিয়ে রয়েছে মতপার্থক্য। ধর্মভিত্তিক দলগুলো এই ১০০ আসনকে 'বাড়াবাড়ি' বলে আখ্যা দিয়েছে। অন্যদিকে, বিএনপি ১৪ই জুলাই সংসদে নারীদের জন্য ১০০টি সংরক্ষিত আসনের পক্ষে অবস্থান নিলেও তারা বর্তমান মনোনয়নভিত্তিক পদ্ধতিরই সমর্থন করছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য রুমীন ফারহান।
গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত নতুন দল এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ড. মাহমুদা মিতু ১০০ আসনের পক্ষেই মত দিয়েছেন। তবে বাম রাজনৈতিক দল সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহীন হোসেন প্রিন্স বলেন, তাদের দল নারী আসন চায়, কিন্তু তা হতে হবে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম বলেন, 'যেহেতু সমাজে এখনও নারী-পুরুষের অবস্থান সমান নয়, তাই আসন সংখ্যা ১০০-তে উন্নীত করা যেতে পারে।'
যদিও বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীর অবস্থান এখনও উল্লেখযোগ্য নয়, বেশিরভাগ নারী রাজনীতিবিদই সংরক্ষিত আসনের বিপক্ষে তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন।
ডিবিসি