
দিনাজপুরের বিরামপুরে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এক ছাত্রদল নেতাকে বহিষ্কার করেছে তার সংগঠন। তার নাম আবদুল্লাহ। তিনি উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। শুক্রবার তাকে সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দিনাজপুর জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাহজালাল স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুবেল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আবুজার সেতু।
এর আগে এক কলেজছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বিরামপুর থানায় মামলা করেন।
অভিযুক্ত আবদুল্লাহ উপজেলার হাবিবপুর এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে। এ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান নুর ওরফে বাবু।
মামলার এজাহার বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় কলেজে যাচ্ছিলেন ওই কলেজছাত্রী। বিরামপুর ব্রিজের কাছে রিকশা থেকে নেমে আদর্শ স্কুলের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে একা পেয়ে তার ব্যাগ টেনে ধরেন ছাত্রদল নেতা আবদুল্লাহ। তিনি মেয়েটির সঙ্গে জোরাজুরি এবং একপর্যায়ে তার শরীরে হাত দেন। মেয়েটি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। তাদের দেখে পালিয়ে যান ছাত্রদল নেতা। ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের বিষয়টি জানালে মামলা করা হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, অভিযুক্ত আবদুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করছিলেন। কলেজে যাওয়া-আসার পথে তাকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গিসহ কুপ্রস্তাব দিতেন। বিষয়গুলো নিয়ে কয়েকবার গ্রাম্যসালিশও হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আবদুল্লাহর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হয়, কিন্তু প্রতিবারই তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ছাড়া তার বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুবেল ইসলাম বলেন, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে এক কলেজছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি আমাদের নজরে এলে সাংগঠনিকভাবে তাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।