
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ এবং পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। বুধবার (২৩ জুলাই) ১৩টি দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষে তিনি এ অভিযোগ করেন।
নুরুল হক নুর বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পরে বিপুল জনপ্রিয় ও জনসমর্থিত সরকার যদি কোনও নির্দিষ্ট দলের প্রতি হেলে যায়, তাহলে তাদের প্রতি জনগণের সমর্থনও সরে যাবে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল, এখনও রাজনৈতিক মাঠে তাদের একটা শক্ত অবস্থান আছে। বিএনপির মতো একটি বড় দলের সঙ্গে সরকার আলাপ করতেই পারে, খুব স্বাভাবিক।
নুরুল হক নূর বলেন, ‘গতকাল রাতে বৈঠকে ডাকা চারটা দলের মধ্যে তো একটি দলের নিবন্ধনই নাই, সদ্য গঠিত হয়েছে। এই অভিযোগটা আজকে ১৩ দলীয় বৈঠকের সব দলের নেতারাই উত্থাপন করেছেন। আমরা চাই অন্তত অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে একটা নিরপেক্ষ আচরণ এবং এই গণ-অভ্যুত্থানের অংশীজনদের যথাযথ মূল্যায়ন।’
চট্টগ্রামের আইনজীবী হত্যাকাণ্ড এবং গোপালগঞ্জের সম্ভাব্য সহিংসতা নিয়ে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতার অভিযোগ করেন তিনি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রসঙ্গে নুর বলেন, ‘এক-দুইটি দলের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে সেটি বৃহত্তর জনআকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করা হয়।’ তিনি সরকারকে আহ্বান জানান, কোনো রাজনৈতিক চাপ বা পক্ষপাত ছাড়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ নিশ্চিত করতে।
স্থানীয় সরকারের অকার্যকর কাঠামো নিয়েও কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, গত ১১ মাসে এনসিপি ছাড়া আর কোনো ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে সরকার বসেনি। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের প্রস্তাব রাখেন নুর, যাতে সরকার আশ্বাসও দিয়েছে বলে জানান তিনি।