Image description

পাবনার ঈশ্বরদীতে ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট করা নিয়ে বিরোধের জের ধরে বিএনপি সমর্থিত এক পক্ষের বসতবাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতা ও ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত তৌহিদুল ইসলাম তুহিন পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের ভাতিজা এবং জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য।

রোববার মধ্যরাতে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের মন্ত্রী মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৩জনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। তারা আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

জানা গেছে, ছাত্রদল নেতা ও ইউপি সদস্য তুহিনের ভাতিজা ফেসবুকে একটি পোস্ট করে। সেই পোস্টে বিএনপি সমর্থিত অপর জাকারিয়া পিন্টু গ্রুপের মেহরাব হোসেন শোয়েব নামে আরেক ছাত্রদলকর্মী বিরূপ মন্তব্য করা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। বিরোধের জের ধরে রাতে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে তুহিন গ্রুপের লোকজন শোয়েবের বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও মারধর করে কয়েকজনকে আহত করে। পরে ককটেল বিস্ফোরণ ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি দল এসে এখানে হামলা ও ভাঙচুর করেছে। গোলাগুলি করছে কিনা সঠিক বলতে পারছি না। তবে বিকট শব্দ হয়েছে।

হামলার শিকার মেহরাব হোসেন শোয়েব ও তার বাবা সিরাজুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করে এসে তারা অতর্কিত হামলা করে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। আমাদের পরিবারের লোকজনকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে। এসময় তারা গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্যসচিব মেহেদী হাসান জানান, এলাকাটি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের। ওই এলাকায় আমাদের গ্রুপের সমর্থক হওয়ায় ছাত্রদল কর্মীর উপর এবং তার বাড়িতে হামলার এ ঘটনা। এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা ও ইউপি সদস্য তুহিনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে তা সত্যি তবে ভাঙচুর, লুটপাট ও গোলাগুলি এসব অভিযোগ সব মিথ্যা ও বানোয়াট। বাকবিতণ্ডা আর উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। তারা নিজেরা এসব করে দায় চাপাচ্ছে আমাদের উপর।

ঈশ্বরদী থানার ওসি আ স ম আব্দুন নূর বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে এখনো কোন পক্ষের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।