Image description

কয়েক বছর ধরে দেশে সবচেয়ে ভয়াল মাদকের নাম ইয়াবা। ‘বাবা’ নামে এটি ছড়িয়ে পড়েছে সমাজের বিভিন্ন স্তরে, বিশেষ করে তরুণদের মাঝে। সারা দেশে ইয়াবার মূল যোগান আসে মূলত মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের এলাকা টেকনাফ থেকে।

ভয়ানক এই মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে সবচেয়ে বেশি যে নামটা শোনা যায়, তিনি কক্সবাজার-৪ আসনে দুই মেয়াদে (২০০৮ ও ২০১৪) সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করা আবদুর রহমান বদি। একাধিকবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের একাধিক মাদক ব্যবসায়ীর তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে তার নাম। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ‘ইয়াবা সম্রাট’ বদির বিরুদ্ধে মামলা নিতে পারেনি মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে আইস উদ্ধারের বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক মুহাম্মদ ইউসুফ।

তিনি বলেন, ‘মাদক সেবন যেমন আসক্তি, ঠিক এর কারবারও বড় আসক্তির। আমরা মাদক সম্রাট বদির নামে আসলে আওয়ামী লীগের আমলে কোনো মামলা নিতে পারিনি। বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমরা কাজ করছি। এখন আমাদের হাত-পা বাঁধা নেই৷ আমরা তার (বদির) সকল কার্যক্রমের তদন্ত করেছি। আমাদের একটি কমিটি তদন্ত করে কাজ করেছে। বদি ও তার আত্মীয় স্বজনদের বিষয় বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।’

মুহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘আমরা এখনো ব্যবস্থা নিতে পারিনি। এজন্য সময় প্রয়োজন। আমাদের সোর্স লাগানো আছে। গডফাদারদের ধরার বিষয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেন। কিন্তু গডফাদার থাকে অনেক পেছনে। তার কাছে পর্যন্ত পৌঁছাতে আমাদের জুতার তলা ক্ষয় হয়ে যায়। এ জন্য সহজ যেটা কাজ হচ্ছে মানিলন্ডারিং মামলা। বদির পুরো পরিবারের তথ্য এসেছে। এবার তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিতে কাজ করব। দ্রুতই একটা ফলাফল দেখতে পাবেন।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মাদকের আধিপত্য এখনো অনেকেই ধরে রেখেছেন। আমরা সবার বিষয়ে কাজ করছি। আমাদের নিজস্ব গোয়েন্দাদের পাশাপাশি অন্য সংস্থারও সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে।’