Image description

সম্প্রতি এক টকশোতে অংশ নিয়ে সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আশরাফ কায়সার গোপালগঞ্জ কেন্দ্রিক সাম্প্রতিক সহিংসতা এবং দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসনামলের প্রভাব নিয়ে স্পষ্ট ভাষায় বক্তব্য রাখেন।

গত ১৬ বছরে গোপালগঞ্জের নামে বাংলাদেশে যে ধরনের নিপীড়ন, ক্ষমতার অপব্যবহার ও পদবণ্টনের বৈষম্য ঘটেছে, তা দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছে। তিনি বলেন, “এই কালো অর্থনীতির ছায়া শুধু ক্ষমতার কেন্দ্রে নয়, জনগণের জীবনেও পড়েছে। বেনজির আহমেদ থেকে শুরু করে যারা বিতর্কিত হয়েছেন, তাদের প্রতি জনমনে ঘৃণার প্রকাশ ঘটেছে এবং ঘটবে।”

তিনি উল্লেখ করেন, গোপালগঞ্জ একটি সেনসিটিভ বা স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে পরিচিত হলেও, সেখানে এর আগেও সহিংসতা দেখা গেছে। তিনি বলেন, “গত বছরের ৫ আগস্টের পরও গোপালগঞ্জে আমরা সহিংসতার চিত্র দেখেছি। এমনকি সেনাবাহিনীর উপরও হামলা হয়েছে, তাদের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ তখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরং সরকার ছিলো নরম মনোভাবাপন্ন।”

 

আশরাফ কায়সার ১৯৭১ সালের মিরপুরের সাথে গোপালগঞ্জের তুলনা করে বলেন, “এখন ১৯৭১ সালের মিরপুর আর ২০২৪ সালের গোপালগঞ্জ আমার কাছে এক। মিরপুর স্বাধীন হয়েছিলো স্বাধীনতার তিন মাস পর। এখন যেহেতু স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা বিদায় নিয়েছেন এবং দেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন এসেছে, তাহলে গোপালগঞ্জ কি বাংলাদেশের বাইরে? গোপালগঞ্জও তো মুক্ত হওয়ার কথা।”

তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সময়ে ছাত্ররা রাজনীতি করছে, আন্দোলন করছে—তাতে ভিন্নমত থাকতে পারে, সমালোচনা করাও স্বাভাবিক। তবে এটাও সত্য, আমরা একটি ফ্যাসিস্ট শাসন থেকে মুক্ত হয়েছি। একটি গোষ্ঠী যদি মনে করে যে তারা বাংলাদেশের অন্যান্য জেলায় যেতে পারলে গোপালগঞ্জেও যেতে পারবে, তাহলে সেই অধিকার তাদের রয়েছে।”