
গোপালগঞ্জে ১৬ জুলাই জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ওপর হামলা করে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এই সময় তারা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের মতো সহিংসতা ঘটায়।
এই ঘটনার পর, সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে যেখানে দেখা যায়, পুলিশের গাড়িতে এক ব্যক্তির লাশ তোলা হচ্ছে। ভিডিওটি পোস্ট করে হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেন, সেটি গোপালগঞ্জের এবং ওই ব্যক্তি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
কিন্তু রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ভিডিওটি গোপালগঞ্জের নয়, বরং এটি পুরোনো একটি ঘটনা। ২০২৪ সালের ৪ জুন ফেসবুকে ভিডিওটি প্রথম ভাইরাল হয়। তখন বলা হয়েছিল, এটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাদুঘর বাস স্ট্যান্ড গরুর বাজারে এক ছিনতাইকারীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের দৃশ্য।
ভিডিওটি শনাক্ত করা গেছে ‘প্রাণের ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ নামে একটি ফেসবুক পেজ এবং ‘Mohammad Sajon’ নামে একটি ব্যক্তিগত প্রোফাইল থেকে। উভয় ক্ষেত্রেই ক্যাপশনে একই দাবি ছিল।
প্রসঙ্গত, গত ৭ জুন দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হয়। এর আগে বিভিন্ন কোরবানির পশুর হাটে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক অভিযান চালায়। ভিডিওটির পটভূমি সেই সময়কার।
সুতরাং, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি পুরোনো ভিডিওকে বুধবার গোপালগঞ্জে এক ব্যক্তিকে হত্যা করে পুলিশের গাড়িতে তোলার দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।